ভাদ্র প্রকৃতি

ভাদ্রের মুগ্ধ প্রকৃতি অপরুপ কামিনী শ্বেত ফুল।
নয়নতারা ফুলের যাদুতে নয়ন জুড়ায় পৃথিবীর।
শিউলির শুভ্রতায় বৃতির মাঝে গাঢ় হলদের টিপ।
দোলনচাঁপার পাপড়ি মেলে কলি সাদাবক ঠোঁট।
কাশফুল বনে শুভ্র মেঘেে অন্তমিলে হয়েছে মিল।
বিপন্ন সুগন্ধি ছাতিম গাছ-ফুল ভাদ্র হারায় খুঁজে।
মাধবি লতা সবুজ পাতা সম্মুখ লালরঙ নিয়েরাঙা।
ফুটে নুয়ে নতহয়ে আছে সাথেভাদ্ররে দিতেপ্রণাম।
বৃষ্টি পোটায় পাপড়ীর পালে ভেজায় শিশির নক্ষত্র।
মেঘে মেঘে আকাশ ধথাকে কালোহয় সারাবেলা।
দিন-রাত বৃষ্টি হয়েযায় আকাশ চোখেক্লান্তি ধুয়ে।

ভাদ্ররুপ পালটায়,আনে তালপাকা রৌদ্রময় গরম,
মল্লিকা ফুল একই গুচ্ছে কিছু ফুটেছে তো কিছু
গুটিয়ে থেকে আছে যেন অভিমান ভাদ্রের বাণে।
মালতি লতা মিষ্টি ঘ্রাণ বৃতি পাঁচে লাম্বা চোখা হাত
ভাদ্রের সর্বত্র বিচরণে মুড়িয়ে থাকে ঝোড় জাপে।
বর্ষারানী কেয়া যেন ভাদ্রেও তাররাজত্ব দেয়জানা
দৃষ্টির সম্মোহনে কাছে টানে তার অপরুপ শোভা।
ভাদ্রের আছে আরেক কিংবদন্তি রানীজুঁই পুজাঘরে
নেশাজনক গন্ধ চার পাশ করে দেয় স্বর্গীয় অনুভূতি।
লাল সাদ রাঙ্গে বোগেনভিলিয়াফুল যেন ভাদ্রসবুজে
মেলা জমেছে প্রজাপতি-জাতি দলেদলে মুগ্ধমিছিল।

ধানের সবুজ ক্ষেতে শাপলার সাদা হলদে রংচটা
লেগে গেছে পান্তার হতে পান্তর অরন্য ভূমি ভূমি
বিন্দুবিন্দু শিশিরে রুপনেয় মহাকোন গ্রহ কাব্যিক।
স্থলপদ্মফুল তৃরঙিনসোভা ভাদ্রকেসাঁজায় আপনকরে।

রাধাচূড়া ফুলের হলুদ-লাল রঙে যেন
আগুন লেগেছে ভাদ্রের বনে বনে।

শ্বেতকাঞ্চন জয়ন্তী ফুলে হলুদ-শুভ্র ধুতির বাহার
মেলে ভাদ্রের এই বাংলা ভূমন্দ্রে।
বেগুনিবর্ণ  শোভন পাঁপিড় কোমলতা
ছয়টি মুক্তা জারুলের গাছে বেগুন আনাজ।

ঝিঙের রঙ লাগছে জমির বক্ষে ভাদ্ররে পড়িয়েছে
'হলুদ সন্ধ্যার' শাড়ি।
বিস্তৃত তৃণে তৃণে শিশিরের সিন্ধু জমে ভাদ্রে ভোর
এই মেঘ এই বৃষ্টি এই ঠা রূর্যকিরণ এই ঢেউ ঢেউ
জল মাঠ পর মাঠ।
ভাদ্রের এই প্রকৃতি স্বচ্ছল স্বনির্ভর স্বতন্ত্র স্বস্তির
কতনা হাজার উপমায় ভাদ্র হয়ছে স্বমহিন।