শহরের অগ্নি জীবন'
উঁচু দালানের বারান্দায় দাড়ালে সন্ধ্যায়,
প্রতি দালানের প্রতি কক্ষে একটা চাঁদ ,
আকাশের চাঁদের মতই দেখায়,- জ্বলে,
যেন সূর্যের দাহে ভেতরে তুলতুল কায়া
নিরবে ছাই হয়ে যায়, নড়ে না, নিঃশব্দে
একটা খাণ্ডবদাহ বুকে-মাথায়।নগরী সব
ভার ঘাড়ে বসে,রক্তে ছড়ায় রোজ প্রতি কক্ষে।
এক-একটা জীবন যে হয়ে উঠে মিহিরের
ভূগর্ভ।একটা শ্বাস শহরের কেনা হাজার
কোটিতে।বারান্দায় এসে দাড়ালে আকাশ
যেন এই শহরের নয় এই পৃথিবীর নয়,
এই আমাদের নয় কারুরই নয়-'যেন অন্য।
আকাশের সব রূপ বিকৃত হয়ে গেছে,
নগরের দেয়ালে ঝুলে থাকে সুধাকর,
বাল্বের কৃত্রিম আলোয় অহমিকা হারায়।
এক পোটা উদক পেতে হয় এক শহর দামে
কুকুরের ঘুম হয় যেমন তেমন থেকে-খেয়ে
আমরা নির্ঘুমে বিছানায় হৃদক্রিয়ায় শহর
নিয়ে আসি।নিয়ে আসি লাখ বছর এর জীবন।
তারপর বিছায় পরে থাকি নতুবা বারান্দায়
আরোগ্যনিকেতনের-ঘুম কিনে আনতে হয়
মগজ বন্ধকীতে। এই শহর যেন অগ্নি জীবন
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ হয়ে যায় আখীযোড়া প্রতিযোগিতার
নিরিখে। রোজ মৃত হয়ে যায় জীনব,-
ভোরের বিছানায়। বাতাসের জীবন হয়ে গেছে
ধূলো-ডাস্টবিন। এই শহর রোজ টাকায় কেনা।
কালো-ধলব রাস্তায় পায়ের হেমারে আগুন ছড়িয়ে
দেহ জ্বালায়,বাকি গন্তব্য লাভার কারপেট,
জ্বালায়,'গলার বেতরে সরু পিচ্চিল ঝর্না শ্বাসনালী।
মানুষের অন্তর শিলাগিরি কোন চিৎকারে জমেনা
বিন্দু শিশির।
সব ফুল টাকয় কেনা টাকায় বিলি হয় ঘ্রান।
শহরের অগ্নি জীবন-মরন ভেসে থাকে কয়লার মতন।