'সব নারী এক নারী'

পাগলী তুই কেমন আছিস? তোর কোলের বাচ্চা?
বহুদিন হল'যে তোকে দেখিনা!
তুই কুমারিতে গর্ভপাত করেছিলি
তার পর তুই গ্রাম ছাড়া...!
তুই নারী, তোর সন্তানের-মা-অবলানারী,
তোর বাবার-রাজকন্যা ছিলি, এখন তুই কি?
বেশ্যার খেতাব নিয়ে তুই ভ্রষ্টা নারী!
তুই তোর স্বামীর যৌনদাসী ছিলি!
আমার বোন তুই, তুই নারী, এখন পাগলী..
সবাই তোকে পাগলী ডাকে!
নারীরা কি আসলে মানুষ? মনে হয় না!
পাগলী তুই কি করে বাঁচিস?
কেমন করে রাত হয় তোর ভোর বা কখন?
আমি যত নারী দেখিছি আমার মা থেকে
তোর মতই সবাই।
একটু আলাদা, তুই রাস্তায় ঘুমোস,
কেউবা প্রসাদে, কিন্তু দাসী, ছেলের কাছে-মা,
ভাইয়ের কাছে-বোন, বাবার কাছে-কন্যা।
স্বামীর কাছে তো যৌনদাসী নারী-তুমি আমার মা।
তুমি আমার বোন, তুই আমার কন্যা!
আমার কাছেও একই, আমার চরিত্র পুরুষের মতো,
স্বামীর  মতো না, ভাইয়ের মতো না, বাবা মতো না
আমার কন্যার সম্পদ দেবো ছেলেকে,
বোনেরটা তো নিজেই ভোগ।
অযন্তে মা বে খেয়ালে মরে দুখে দুখে,
আমার স্ত্রী তো আমার কাছে যৌনদাসী!
নারী তুমি কোথায় কার কাছে কি হও আমি জানি না?
কোথায় তোর ঠিকা না পাগলী?
কত দিন তোকে দেখিনা!  
চার পাশে নারী আর নারী যেন-
এক একটা নারী একটা দুখের সাগর!
তুই বেদনা করিস না পাগলী? এই আমাদের
সমাজে সবাই নারী সবাই পাগলী!
কেউ চার দেয়ালে কেউ তোর মত রেললাইানে!
আমার  দায় থেকে গেছে হিমালয়ের মত,
কারন আমি পুরুষ হয়ে থেকে গেছি।
না হতে পেরছি সন্তান, না ভাই, না স্বামী,  না বাবা!
আমার চরিত্র হিংস্র সিংহ প্রভুত্ব করা!
আমি পুরুষ হয়ে থেকে গেছি তাই নারী
দাসী-পাগলী।
কষ্ট নিসনে পাগলী, তুই নারী এটা মেনে নিস!

--স্বামীকে উপহার দিয়ে দু'সন্তান,
হাতে নিয়ে তালকনামা-এখন পাগলী!
বাবার সংসারের বোজা, দিন কাটে কোটি বছর!