'শুভ্রশ্রী'
তোমার জন্ম এভাবে কেনো হলো?
তুমি একটু ভিন্ন কিছু হয়ে জন্মাতে!
গল্পটা অনেক দূর যেত..
প্রসূতির কষ্ট দশ মাসে লাঘব হয়;
আর, আমার বুকের বাম পাশটা কুড়ি
কোটি বছর চেপে আছে নুড়ি!
না সরে, না প্রসব হয়, না গলে যায়!
অবশ্য ভালো লাগে এই ব্যাথা।
এই আজন্ম জন্মজখম আমার খুব অহমিকায়
থাকে, আমি তাকে তিল তিল করে বড় করি।
শুরুটা না হলেও বেঁচে যেতাম, কেন দাড়ালে?
হাসলে? দখল করে নিলে এই বিশ্ব!
আর কিছু নেই, কিছু থাকে না মানুষের!
কেন শুভ্রশ্রী শুরুটা বুকে কাপন ধরিয়ে
চেপে থাকো এত কোটি বছর?
না নড়! না সরো! না ভুলো,
সব হারিয়ে যায় ; তুমি হাড়াওনা শুভ্রশ্রী।
এমন জন্ম না হতো আমার?
হতে পারতো কত সহজ নৈসর্গিক জোছনার মতো!
কঠিন হয়ে যায় স্রোতের বিপরীত দাঁড়াতে!
তবু চেপে ধরি দাঁতে দাঁত!
কামড়ে মাটি পায়ের গোড়ালি।
তোমার জন্ম কেন ঐ নক্ষত্রে হলো?
যা ছুঁয়ে দেয়া যায় না?
রাত গভীর না হলে দেখা যায়না!
প্রতি অন্ধকারে প্রতীক্ষায় থাকি নিশাচর হয়ে!
মগজে খেলা করবে কখন! আমাকে
অবচেতন করে পালাবে শুভ্রশ্রী!
এ নিয়ম আমি মানিনা কো! কেন এই খেলা চলে
নিজের সাথে নিজের! এই বাঁধ আর কত কাল!?
এই জন্ম জন্মের নিয়মের চক্র
কেন বুক রক্ত সাগর করে?
কেন পাথরের কলিজা বেয়ে জল?
নদী ভরাট হয়ে যায় উজানের বানে
সব মিথ্যা হয়ে যায় সুত্র সমীকরণ!
এ আবার কেমন জীবন? কেমন নিয়ম?
আমাদের কোন ইচ্ছের ফুটবে না ফুল?
কোন আবেগ হাস'বেনা মুখ! এই খেলা জীবনকে কি জীবন বলে? এই জন্ম মৃত্যু হোক ! যেখানে হিসেব থাকবে....