'স্বাধীনতা আমার'

- মোঃ জসিম উদদীন গাজী

শ্রমিকের ঘামের পয়াসা-দরিদ্রি এই দেশের জনগনের
ট্রেক্সের এর টাকায় সাজানো এই নগরী জ্বলছে আজ,
জ্বলছে সারা দেশ দাবানলের মত,-রাষ্ট্রয়ী টেলিভিশন ভবন পুড়ছে আমার,আজ স্বাধীনতার মুখ গহ্বর আগ্নেয়গিরি,-ঝলসে বেরিয়ে আসছে কলিজা হৃদপিণ্ড.জ্বলছে মেট্রোরেল-স্বাধীনতা পতাকা চিৎকার করছে, ধ্বংসাত্মক যঙ্গে ধ্বংসই হলো সেতু ভবন- আশপাশ পরিবহন-সম্পদ,উপড়ে ফেলা হলো সড়ক কাঠামো স্থাপত্য-বিপণী বিতান-যেন স্বসরীরে পিষে গেলো ভিন দেশী কোন ক্ষেপান অশ্র- মিসাইল-গোলা

কালো ধোঁয়া ভারি হয়ে গেলো আকাশ নগর--পোড়া গন্ধে শ্বাস থেমে আসছে,,বন্দুক-রাইপেলের আওয়াজে ঘুমের শিশুর চিৎকার মায়ের আঁচলে মুখ লুকায়,কান ঢাকে,,আমার স্বাধীনতা এত এত মেধাবী বিদায় হলো!? এত রক্ত!রক্তে ভেসে গেলো নগর!? স্বাধীন মানচিত্রে রাজ পথেইতো চলছিলো নিজেদের কথা, অধীকার এর কথা!? কেবল 'এক দপা'!নিজের ছেলেরাই বলছিলো-আমাদের দাবি মানতে হবে-বলছিলো সাম্যের কথা, মেধার মূল্য টুকুই চাই ছিলো তো জনতা!-

তারপর কি বিবর্ণ দৃশ্য- চললো-গুলি,বয়ে গেলো রক্ত স্রোত,আমার স্বাধীন মায়ের বুকের রক্তে ভাসলো এই জমিন, দালানের দেয়ালে চিটকে গেলে রক্ত, রাস্তার কালে পিজে রক্ত লাল শামিয়ানা!স্বাধীনতার বুক ছিড়ে- রক্ত!? লাশের উপর লাশ-মৃতস্তুপে দাড়িয়ে-খান্ত!

স্বাধীনতাকে উলঙ্গ করে-যেন ব্যাশার অপবাদে লেপন করলো,তরুন জনতার রক্ত লালে সমাজ লোকসংসার হতে একমুখো করে-স্বাধীনতা আজ কনডেমেড সেলে-ফের মৃত্যুর জন্য খানিক অপেক্ষা...!

স্বাধীননতা বাকরুদ্ধ -তার সমস্ত দেহ  রক্ত ঝর্না-প্রতিটি লোম এর গোড়া যেন গলিত লাল লাভা স্রোত,চিৎকার দিতে গেলে হয় রক্ত বমি,-সাথে বেরিয়ে আসে গলিত
মাংস-হাড় নাড়িভুড়ি।

থেমে গেলো কল কারখানা-কর্মহিন হয়ে পরলো আঠারো কোটি মানুষ,বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট বিছিন্ন, খাদ্য সামগ্রী সংকটে মানুষ,যেন একাত্তর দেখছে মানুষ এখন,
আমার স্বাধীনতা-আমর অস্তিত্ব-বিপন্ন-সংকট-ত্যাজ্যপুত্র