রণক্ষেত্র দেশ'

চেয়ারটা একটু বদল চায় এখন আমজনতা
এইটুকুই তো চাওয়া! খুব বেশি কিছুতো নয়?
এই চেয়ারে কি এমন আহামরি থাকে যে- এঁটে থাকতে হবে?
অকাল-গত হলো এত প্রাণ!তরুন-শিশু- শ্রমোজীবী মেধাবী!কারবালা ময়দান হয়ে আছে আমার সোনার দেশ
ফ্যাল্সটাইনকে ছাড়িয়ে যায় বর্বরতা- নৃশংস-হত্যা যজ্ঞ-ঘুম- কারাবন্দী-
তুবুও চেয়ার খানা চাইই চাই! এত দাম-এত মান দিয়ে কি হবে? জনতার ভাষা আগে বুঝতে হবে আমাদের!
দেশ প্রেম-মানবতাবোধ থাকতে হবে তো আগে!আজ চিতাঅগ্নি দেশ-জ্বলছে আর জ্বলছে! কে থামাবে?
থামবার তো নয় এই যুদ্ধ যেন,
ঘুমিয়ে থাকা সিংহ যখন---
জেগে উঠে গর্জন দেয়,তখন নেকড়েরা গর্ত খুঁজে।
তরুণরা জেগেছে গর্জে উঠেছে, ঘুম ভেঙে গেছে জনতার!
তবুও তাকিয়ে আছে তোমার প্রতি এর একটা বিহিত
সমাধান হোক,খুব সম্মানের সাথেই হোক।
এ করে এ ভাবে কি, কোন জাতি উঠতে পারে?
জাতির মঙ্গলে,করুনা করে হলেও,- নত
হয়ে সিংহ গর্জন থামাও, রাজধানী-সারা দেশ হয়েছে
আম্যাজানের দাবাল-তার উপর জল না ঢেলে
রাসায়নিক ছড়িওনা যেন সব বিনাশ হয়ে যায়!
একটি চেয়ারের মূল্য কি করে এতগুলো
প্রাণ হতে পারে? দেশ আগ্নেয়গিরি হতে পারে?
ধ্বংসস্তূপে রুপ নিতে পারে?
কি চায় রাজপথে বরেণ্য'র পুত্ররা তরুন তরুণীরা- এটা বুঝে নাও
দেশের জন্য এই অভাগা মানুষদের ভাগ্য ফিরিয়ে দিতে হলেও তুমি দাড়াও,এবার একটু বিশ্রাম নাও
গোলাপের সব লাল পাপড়ি ঝরে যায় ফ্যাকাসে হয়ে যায় মরদেহ রং!
সাদা হয়ে যায় লাল জামা,-রং উঠে ভেসে যায় নর্দমার জলে
মায়ের পড়নের কাপড় শুভ্র ধূতি হয়ে যায়
সাঁকা ভেঙে যায় যুবতী বোনের হাতের
স্বপ্ন হারা হয়ে দিশেহারা স্বপ্নসারথি
এত চিৎকার এত অভিমান নিজ লালাটে মানুষ
তবুও তোমার লাগবে ঔ সিংহাসন! কি আছে ওখানে?
সেই চেয়ারে? যেখানে বসলে আর জনগণকে মানুষই মনে হয়না!
মনে হয় চারপোকা? মনে হয় নির্বোধ- গর্দভ?
সবই ঠিক,-এমনটিই জনগণ,-তবুও গাদা হয়ে
আমাজনতা বুদ্ধিমত্তা শেয়াল শাসক চায় না
শেয়ালের খাচায়-গাধার শাবক হয়ে আর থাকতে চায়না এই নিপীড়ন জনতা!
চার পাশে অগ্নি কুন্ডলী-কালো ধোয়ায় আকাশ,-মরন মেঘে ঢেকে আছে!