রক্ত মাখা মায়ের হাত
তোর জামাটায় রক্তের দাগ,আলমারিতে রেখে দেয়া আছে,
রক্ত ভেজা আমার হাত এখন শুকিয়ে গেছে খোকো,
জামাটাও শুকিয়ে গেছে চোখের পানিও।
তুই এখন উর্বরমাঠি হয়ে গেছিস,তোর বুকে এখন জন্মেছে ঘাস ,
সেই তৃণে তুই ভোরের রক্ত শিশির।
আমি রোজ তোকে দেখি দেয়ালের ওপাড়ে ঘুমাস বিছানা ছাড়া,
গাছের শিকড় তোর বুকে নঙ্গর করেছে। বৃষ্টির বর্শা তোর বুকে
ঝড়ছে অবিরত , তোর উঁচু বুক মিশে যায় মাঠির সাথে,
ভাবি ছাতা নিয়ে যাবো তোর কবরে।
আমি বীরের মা,’ ভালো লাগে এই ভাবনা, তাই বলে তুই
মা বলে আর ডাকবিনা? আর ঘুমাতে আসবিনা আমার গুছিয়ে দেয়া
তোর শখের খাঠে? আর অভিমান করবিনা কিছু বায়নায়?
তুই পঁচে গলে গেছিস জৈবসার হয়ে,সবুজ ফসল প্রান্তর তুই এখন,
তোর বুকে কৃষক সোনালী ফসল ,কোটা-বৈষম্য প্রতীকী পতাকা তুই,
তুই দেয়ালে দেয়ালে চিত্র হয়ে আছিস।
তোর রক্ত মাখা জামাটা খুলে খুলে দেখি, তোর বই পত্র টেবিলে,
তোর আকাঁ ছবি মোটা কাগজের এ্যালবামে-ভাসানী'র ছবি,
মুজিব এর ছবি মরা নদীর ছবি,বাইশের বান ছবি
আরো কত ছবি।তোর কোন ছবি নেই!
তোর ছবি রক্ত মাখা জামা, রক্ত মাখা হাত আমার তোর ছবি,
দেয়ালে এঁকে দিয়েছে দেশ তুই ছবি।