অস্ত বেলা
আর কত দিন তুই থাকবি ওরে এই রঙ খেলায় মেতে?
কত দিন তুই আর করবি খেলা ইচ্ছের পুতুল হয়ে?
ধসূর হয়ে গেছে ধবল গগন,উড়ে যাবে তোর অন্তত স্বপন,
চার পাশে হয়ে গেছে কত সজন গত,তুই করবি কত
আর পিরামিড? এবার আয় ঘোর কেটে আয়-মানুষে আয়,
অনথা আশ্রমে বৃদ্ধ শালায় আয়, কংকাল পল্লীতে আয়,
যেখানে ক্ষুদার্ত শিশু হামাগুড়ি দেয়,
মায়ের চোয়াল গর্তে গিয়ে দন্ত বাহির হয়।
শুভ্র শাড়ীতে বধূ যৌবন হারায়,জুড়ে দে ভাসা নায়ে
একখান মাঝি।আর কত জমি লাগবে, তোর কত যশ?
মানুষের মত দেখতে লাগে ওরে তোকে,' মানুষই থাক,
মানুষ ভিজে যায় ঘর ছাড়া মোরগের মত, মরে যায় কুকুরের মত,
ঘুমিয়ে যায় গবাদি পশুর মত। আয়, একখানা ছাউনি তুলে দে।
এক খানা বস্ত্র দে মায়ের মত দেখতে লাগে কার যে মা।
এখনা রুটি হাতে দে।
বেলা শেষ হবার ডাক এসেছে নিকঠে ওরে শুন কান পেতে,
এমনি থাকবে সব,থাকবে ওরে তোর এই সোনার গৃহ
সোনার থালা খানি,থাকবে এই পথ খানি এমনি, যে পথে তুই
ব্যাশাশালায় যেতিস। অস্ত যাবে রবিরশ্মি আঁধার ঘনায়,
এই ধরনী এমনি থাকবে , যেমন ছিলো আগে,
তুই হারিয়ে যাবি-অচিরেই চিতায়-ভূ'গর্তে পুতে দেবে তোর সজনে।
তার পর আবার উঠবে বেলা অন্ধকার কেটে,
সব থাকবে এই ধরা- থাকবে মানবেতর মানুষ,
কাঁদবে আমাদের মানবতা।তুই থাকবিনা আর,
থাকবে সমাজ বৈষম্যতা ঠিকই।এমনি থাকবে শত শত বছর
এই ধান ক্ষেত।থাকবে নাম না যানা কত ঘাস তুই থাকবিনারে,
পথের ধূলো উড়বে বাতাসে তুই উড়বিনা কেবল।
আজকের জোছনা রাত এমনি আসবে যুগে যুগে,
এমনি নক্ষত্রের মেলায় আকাশ সাজবে।
তুই থাকবি না এই বৃষ্টির কোন এক সাঁঝের বেলায়
আষাঢ় থাকবে কাঁদবে এমনি করে অনহারে।
আর কত সকাল ঘুমে কাটাবি রে তুই? কত নিশী জাগবি তুই?
সব খেলা থেমে যায় সময়ের আগে সব আলো ঢেকে দেয় মেঘ কোলে,
কত তাঁরা খশে যায় রোজ আকাশে কত পেঙ্গুইন ডানা আটকে দেয়
বরফ পাথরে ,
এভারেস্ট আরোহী কত ঢাকা আছে তুষারস্তুপে
এই দিন এমনি থাবে যেমন থেকে আছে আদিহতে
থাকবে অন্তে অসীমে।মানুষের মত বেঁচে আছিস একটু জানান দে!
মানুষের মত কথা বলিস একটু প্রমান দে।
সব আলো চলে গেলে আর আসবেনা একদিন,
পাখির ঝাঁক উড়াল দিলেপরে ফেরেনা কোন দিন।