'অপরূপ হেমন্ত'
তৃণের মায়াবী অঙ্গ ভিজে আছে
কুয়াশা জলের রেণুতে
তা ঝড়ছে টপ টপ করে খেজুরের
রসপোটার মত করে
আঘ্রাণের সোনালী ফসলে মাঠ
সোনায় সোনায় পূর্ণ্য
বৈকালী শিরশির শীতের জানান
ভোরে আদো আদো শীত
হিমেল বাতাস ফসলের ঘ্রাণে চঞ্চলা মন
ঋতুকন্যা মায়াবী হেমন্ত
কার্তিক-আঘ্রাণের নৈসর্গিক ঘাসে-তৃণে
শিশিরে,
রাস্তার ওপাড়ে কিংবা নদীর পাড়ে
হালকা কুয়াশার ভেলা সেজেছে শুভ্র মেলা।
কমলা রঙের আলো সকাল গড়িয়ে
উষ্ণতা আমাদের হেমন্ত পৃথিবী
আমাদের ধানের ঘ্রাণ মরা ঘাসের
পঁচা তৃণের শুকনো জলের ঘ্রাণ
হেমন্ত মাখিয়ে দেয় সংসারলোকে
ধূসর আকাশে নক্ষত্র লুকায় মেঘের পালে
হেমন্ত রাজ্যে রাজত্ব করে গন্ধরাজ-মল্লিকা
শিউলি-কামিনীদের বাহরে হেমন্তর
যৌবনে আগুন লাগে।
হিমঝুরি-দেব কাঞ্চন-রাজ অশোক ফুলেরা
পুজো দিয়ে হেমন্তকে করে যায় অনন্য দেবি।
ছাতিম-বকফুল ঘ্রাণ আর রূপসীর মোহে
মহিমান্বিত হেমন্ত।
কোমল তুল তুলে হেমন্ত পৃথিবী সূর্য কিরণ।
আকাশে এই মেঘ এই তুপান এই রাঙা আলো
নবান্নের উৎসবে হেমন্ত হয় অনন্য...
শেষ রাতে ঘুমের বিছানায় হেমন্ত ভর করে
শীত শীত হয়ে
টিনের চালা ভিজে যায় কুয়াশা চাদরে
ফসলে ফসলে ভরে থাকে পল্লী উঠান
কৃষাণী কৃষাণ আনন্দে আপ্লুত হয়ে যায়
নবান্ন বাহারি শস্য শস্যের গন্ধে...