'জরায়ুর দেয়ালে শুক্রাণুর মানুষ'

জরায়ুর দেয়ালে লেপটে  থাকা অণু মানুষ
শুক্রাণু ছিলো আদম হাওয়ার সকল শিশুরা
কতটা জঘন্য ঘৃণিত বস্তু হতে মায়ের গর্ভে
প্রাকৃতিক নিয়মের মধ্য দিয়ে রক্তে মাংসে
কায়া কঠামো নির্মান হয় দির্ঘ সময়ে ভরে
আদম আকৃতিতে যত যা প্রয়োজন তা সব
নিপুণ হস্তে তৈরি করে-গভীর অন্ধকার হতে
বিশেষ বাহনে চড়ে  রক্তবেদনে মানব গুষ্টির
অবতারণ হয় সুরক্ষার বেষ্টনীর স্বর্গে হতে,
তারপর বসেতে শিখি,দাড়াই পড়েযাই দাঁড়াই
শিখে যাই হাটতে যাওয়া,পড়ে যাইনা তবুও
শিখি-কথাবলা-জীবনচলা,তারপর মহামানব
আমাদের হয়-খ্যাতী- সুনাম ছড়ায় বিশ্বলোক
ভুলে যাই এত সহজে ঐ 'শুক্রাণু-লেগে ছিলাম
মায়ের জরায়ুর দেয়ালে',ঈশ্বরকে অনুভবকরিনা
এই যাত্রা ইতি হয়ে যায়,একদিন এমনিতেই
পিপড়ে হাটে নড়ে তুচ্ছ, কত কিছু নড়ে উড়ে
আমরা নড়তে পারবোনা-পড়ে থাকবো নিথর,
পেলনা মরদেহ হয়ে নিজ, গৃহ বা কোনো পথে
তারপর  অন্তিম বাস,-দাহে বা গর্তে- স্থান হবে
এরপর অন্য আরেক রকম অন্তিম জীবনসূচনা
এদিকে চলে যায় কত শত, হাজার বছর বছর
আমাদের আর কোন নাম,অস্তিত্ব কিছুই থাকেনা
যেমন আমাদের জন্মেপূর্বে,চলেগেছে অনন্তসময়
মাঝখানে এই বিন্দুসময়,বিন্দুগ্রহে আমরা এলাম
ঈশ্বর এমন ভাবেই আনলেন,  শুক্রাণুর মাধ্যমে
            এমনভাবে নিয়েযায় নিষ্প্রাণে',
মানুষ তা নিয়ে যেন ভাবে,কৃতজ্ঞতায় নতজানু হয়