জল্লাদ

মৃত্যু ভয় দেখিয়োনা  আজ আমায়,
সব প্রস্তুতি তোমার হাতে,  নিয়ে এসেছি,
দাপন হবো আজ কাপন ছাড়া,  
তোমার রক্ত চুক্ষু আমাকে আজ হাসাবে,
আমি সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি ইয়াজিদ!
তুমি আমায় কি করে হত্যা করতে পারো!
আমি গলা কাটতেই এসেছি নিজের,
রক্ত তুমি পান করবে তো! ‘করো,
হাত পা আলাদা করবে তো, ‘করো,
মৃত দেহ পুড়িয়ে দেবে পেট্রোল দিয়ে!
সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি- জল্লাদ !

মৃত্যু ভয় দেখিয়েনা! হত্যা না করেই আমার চামড়া
ছাড়াবেতো, ছাড়াও! এই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি,
আমি বাংলা, আমি ‘আবুসাইদ,‘মুক্ত,  
আমি কোটা, বৈষম্য রণ-জল্লাদের পিতা!
অগ্নি-ক্রোধে,’ দমাতে পারবেনা।

আমি ‘ষোল-জুলাই আবুসাইদ, শহীদদের অবয়ব পবিত্র আত্মা!
বাংলার ত্রিশ লাখ একাত্তর-মুজিব আমাকে বন্দুক দেখিয়োনা,
শ্রমিকের ঘামে কেনা বুলেট, নিজে কলংকিত হয়োনা।
আমি আয়না ঘর তোতাপাখি বন্দি বীর,
বন্দি ঈগল তৃক্নদৃষ্টির থাবায় নেকড়ের পাল দিক হারায়,
জল্লাদ, আমি শাপলা চত্বর শুভ্র জামা পরিহিত,
দেশ প্রেমিক মানবতাবাদী রক্তসাগর মতিঝিল।

আমি পিলখানা সামরিক অফিসার, নর্দমায় পরে থাকা
দুখুমিয়ার রণ সংগীত। আবরার শহীদ বুয়েট মেধাবী ফেনিনদী জলাধিকার,
‘এস এস এফ মেজর সিনহা, পার্বত্য গিরি দুর্ন্ত অভয়।
বিশ্বজিৎ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ,রক্তাক্ত পান্তর মৃত বাংলাদেশ।
সাগর-রুনি,-তণু, তুমি আমায় মৃত্যু ভয়,দেখিয়ো না ।

আমাকে আর ভয় দেখিয়োনা,তোমার কামানের
শব্দ মৃত্যু নেশা করে দিগুন, তোমার রাইফেলের প্রদর্শনী উম্মাদ করে,
মৃত্যু তামন্নায়,  সব প্রস্তুতি নিয়ে এসেছি,মৃত্যু কপালে নিয়ে এসেছি!
এবার আমাকে জবাই দাও,দেহের সমস্ত রক্ত বের করে নাও,
হৃদপিণ্ড টেনে ছিঁড়ে দাও , গিলু বের করে মাখন করে নাও !
জীবিত দেহের কলিজা ভের করে অবুক্ত কুকুরকে
খেতে দাও, 'তুমি যাকে খোদা মানো'

আমি এই বাংলা 'স্যার নবান সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়'
আমি 'মাওনালা আব্দুল হামিদ ভাসানি' বাংলার ভুখন্ড অপূর্ণ মানচিত্র।
মৃত্যু দাও,পায়ার করো, অস্তিত্ব বিলীন করে দাও,
দেহকে বাতাসের রেণু করে উড়িয়ে দাও মহাশূন্যে।
গলায় তরবারি চালাও, হত্যা করো পিচাশ,
কাঁটাতার সীমান্তের ফেলানী, গুলি করো হে ঘাতক,
আমি মানচিত্র এই বাংলা, আমাকে জ্বালিয়ে ,
ছাই করে সাগরে ভাসিয়ে দাও জল্লাদ!।