'একটি গল্প'

একদিন শিশু-শৈশব দল পয়ত্রিশ পূর্বে
খেলতে চলে যায় খোলাজমি খেলামাঠ,
জমির মালিক-রক্ত গোত্রও বেশ শক্ত!
বলে- 'তোর বাবার কি জমি এই বেটা!
'শালা শুয়োরের বাঁচ্চা দল যত!
যা এক্ষন! আসবেনি আর কক্ষন!
পাড়ার ছেলে সব শুনে, বছর পর পর
তবু যায় খেলে, না মাখে কথা গায়ে,
অবুঝ ছেলের দল বুঝ হয়,খেলা ছাড়ে, মাঠ ছাড়ে,
'তবো জন্ম হয় শিশু বালক-বালিকার দল,
যায় খেলে-আড্ডা-তামাশা-হাসি-খুশি,
চড়ুইভাতি - কুৎকুৎ-,ডাং-ষোল ঘুঁটি।
ঔরসজাতেরাও-তেড়ে আসে রক্ত চোখে-
জমি-মাঠে খেলা কিসে!কান মলে-
লাথি-চড় মারে, 'অবুঝ শিশু বলে,-
কিছু কাঁদে,কিছু নির্বাক-মাথায় হাত-চোখে পানি,
ছুটতে থাকে-পালায় কিছু,লুকায় কিছু।
চলে গেলে ভ্রষ্টমানুষ চোখের আড়াল,
ছেলের দল এক হয়ে খেলে যায় আবার,
তারপর ছেলেরদল বড় হয়ে যায়,
বিদেশ-বিলেত ঘুরে এসে সেই মাঠ খুঁজে নাহি পায়,
খেলা মাঠ পুকুর পাড় আবাদি ভূই সব বে-দখলে,
এখন আছে মিঠুদের নামে- 'কিনে নিছে
আজমত উল্লাহর হতে।
আজমত উল্লাহ চাচতো ভাই অসহায় বলে,
ছোট কালে জমি হতে এরা তিন ভাই তাড়ায়'
আজমত বয়স যখন চল্লিশ জমির কাগজ
দেখে মিঠুদের চাচ-'কামাল খা,
প্রবাসী মিঠুরা তিন ভাই মিলে সব সম্পদ নেয় কিনে
বাজার দামে।খেলার মাঠ হয়ে গেছে এখন গাছের বাগান,
ফসলি জমি আবাদ করে খায় সাজু-রফিক মিয়া,'মিঠুদের কেনা।
চোখ কপালে উঠে যায় সেই পয়ত্রিশ আদি শিশুর দল।
কোথায় গেলো চানখা'র পোলাগো হুদাই বল!
খোঁজ নেয় আর কি আছে-'যা আছে তা আবার
ফয়েজউদ্দিন এর বেটা শেরা'র দখলে বছর দশ প্রায়ই।
তিনটে টিনের ঘর আছে মৃত সেই তিন ভায়ের।
ভিটে ছাড়া কিছু নেই পথ খানিও পরের।
শৈশব কেটে গেছে শিশু দল এখ চল্লিশে।
মৃত হয়ে গেছে বাইশ বছর আদে বড় মিয়া।-
ছোট-মেজো, ঘুমায় করবে।
আজমত কাকা বিড়ি টানে -' জলের দামে বাপ
দাদার সম্পদ এখন মিঠুদের হাতে।
এক মাত্র-'হালার,চানখা'র পলাগো কারনে।
ঊষার অম্বরে সূর্য উঠে সব অন্ধকার হয় আলো,
মরা নদী স্রোত পায়,একদিন মরুভূমি সাগর ছিলো।