এখনোই থেমোনা

একদিন যৌবনার গঙ্গায় তুমি স্রোত হবে
তুমি আর ক-টা দিন,-বর্ষার ডাক আকাশে,
তোমাকে জীবন দেবে হে দেবী ঐশ্বরিক,
বৃষ্টি পলাশ এক হয়ে আসছে-একটু জ্বলো!
তার পর তোমায় সাগর টেনে নেবে, তুমি-
এমনিতেই হারিয় যাবে,নিজেই মহাসমুদ্র হয়ে।
এখনি জেগো না খানিক ঘুমোও,
এক পৃথিবী আলো হয়ে উঠবে সূর্য  -ঘুমোও।
তুমি শিশু আছ একটু থাকো, তুমি পরিপক্ক হবে।
দাড়াবে তুমি,একটু বসো, দাড়ালে বসতে হবেনা।
তুমি থেমে যেওনা না, বিশ্রাম নাও ওইতো দিগন্ত।
সব দিন শেষ হলেও আর একটি আসে, সেই দিন
তখন, বীর মহান হয়ে অমরে ধ্রুবতারা তুমি।
হীমপাথর জল হয় রবিরশ্মিতে,-একটু জমো।
মাকড়সার জাল গুছবে বাতাস বৈছে ফাগুনের,
গোলাপে কাটায় রক্ত! পাপড়ি লালে লীন করবে।
আমাদের চিরকাল সব থাকবে এমন নয়-
অন্যেরও থাক সব,সব পাখি আমি হবো?
কেউ তো আছে-সেও গাক গান।
এখনি থেমেনা,এক পা পেলো,এই ফুরালো
পথ-এই তো সেই জীবন।
অন্ধকারে পৃথিবী হারিয়ে গেলোও আকাশ হারয়না,
আকাশ হারালেও নক্ষত্ররা হারায় না-নক্ষত্ররা।
নক্ষত্ররা হারালেও কখনো ভোর হারায় না,
নবদ্বীপ দিনের মহা মিহির দুয়ারে সেজদা দেয়।
একদিন নদী মরে গেলে কাঁদে নিশ্চয়ই,
তাই বলে কি সে বর্ষা ভুলে?
হামাগুড়ি দিয়ে যে শিশু বার বার কাঁদে
সেও একদিন হাসে জীবনের স্বাদে।
পৃথিবী থেমে গেলে ঘুরবে পাহাড় সাগর
থেমো গেলে তুমি আগু হবে সিন্ধু পাঁজর।
এখনি থেমো না স্বপ্নদ্রষ্টা!
প্রস্থান করে পেছনের বেদনা মেখোনা কায়ায়।
তুমি সেই রণ সমীরে, যেখানে
বারুদের মতো বিস্ফোরিত হয় আত্মা-
পেছনে তাকায় না বীর।
আর এক বার, তুমি থেমো না কেবল,তাপর,
আর একবার থেমোনা। এখুনি থেমোনা-আর একবার।