ধ্বংসের দারপ্রান্তে'/গদ্য

পৃথিবীর সব সত্য একদিন মিছিল করবে
              নক্ষত্রেরা উদিত হবে আলোর রশ্মি হয়ে,
অন্ধকার পালাবে, কোন পথ খুঁজেও পাবেনা,
          অনেক দেরি হবে সত্যরা এক হতে
তবুও এক হবেই সত্যরা।
কিন্তু তা কায়েম হবেনা তাই অপেক্ষা কেবল
শেষ বিকটশব্দের, তার পর দ্বিকবিদিক-
                               মহাআতংক।

একদিন অহংকার ধ্বংস হবে
             খুব অচিরেই হবে,যেমন ধ্বংস হয়ে যায়
উপকূল সাইক্লোন এর তান্ডবে
শুধু দাড়িয়ে থাকবে হিমালয়ের মত
                         খুব সাধারণ প্রাণীগুলো,
              যারা প্রকৃতির মত সবাইকে নিয়ে
                                বেঁচে থাকতে চায়

                    হিংসেরা দম আটকে মরবে,
অচেতন হয়েই মরবে,মগজ পঁচে গলে মরবে
              দুর্গন্ধ ছড়াবে, মুখশ্রী বিকৃতি হবে,
তার ছাপ ভেসে থাকবে, চোখে-মুখে-কথায়।
জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে মরবে।
উইপোকার মত ভেতর দিয়ে সব খেয়ে দেবে
      বুঝবে, ততক্ষনে খানিক দেরি হয়ে যাবে।

লোভ কেড়ে নেবে দুচোখের ঘুম
           কেড়ে নেবে সব- সত্তা-পাপের কূপে ডুবাবে,
বিরামহীন জীবনে ঘুরতেই থাকবে-
                পথ হারা পথিকের মত- নাবিকের মত।
পাল থেকে হারিয়ে যাওয়া নেকড়ের মত

একদিন সব পাপীরা নিজের হাত কামড়াবে
             বলবে- আমরা সত্যি উগ্র ছিলাম,
ঘুষখোর-সুদখোর-ছিলাম,
প্রকৃতি বিদ্বেষ ছিলাম,নদীকে মৃত্যু দিয়েছি-
বজ্র দিয়ে, অরন্য শূন্য করেছি, মহা প্রকল্প করে,
আমাদের কৃতকাজে মানুষ- প্রাণীরা ধ্বংস হয়েছে
কিছু করাবার থাকবেনা, তা মেনে নেবে নিজেরা,
                              আর আফসোস করবে!

সব উপার্জন গলার কাঁটা হবে, ফলে --
                 শ্বাস না বের হবে, না বেতরে থাকবে,
এক করুন কষ্টে চোখ দুটো বেরিয়ে আসতে থাকবে,
কোন কাজে আসবেনা জমানো পান্না,
বেদখল সম্পদ,আকাশ ছোঁয়া দালান,
                                    খ্যাতি-যশ আধিপত্য

কথায় কথায় খাটো করে কথা বলা
            মস্ত বড় মহামানবরা, বিনয়ের সুর ধরবে,
আর বলবে--বিনয়ই আসল বোসন,
লজ্জায় মুখ লুকাবে, অনুতপ্ত হবে
                 ততক্ষণে বিধ্বস্ত হওয়া মানুষ গুলো
কোমায় থাকবে।

                 একদিন সব দরিদ্র-মানবেতর প্রাণীরা
এই পৃথিবীকে অন্ত শালিশ কায়েম করবে,
তখন ফল আসবে বিপর্যয় মহা দুর্বিক্ষ,
        সব থাকবে তোমাদের হাতে-শস্য- টাকা-সোনা,
   তুবুও দুর্বিক্ষ লাগাতার চলবে- মনে- শরীরে আত্মায়া-
ঘরে- সমাজে- দেশ- তা ছড়িয়ে যাবে বিশ্বব্যাপী,
দেখে নিও তোমরা।
                  যারা হাজার বছরের খাদ্য মজুত করেছ
                    তখন সব গুদাম গুলো ভাসবে প্লাবনে।

বিধবা রমণীর করুন প্রতিক্ষার ক্ষোবে
এই সমাজ দাহ হবে,দির্ঘশ্বাসে ঝড়বে শিউলি-
                          বেলী,সব ঘ্রাণ হারাবে এই সমাজ
                   এই দায় নর-নারী সকলকে ছাই করবে,
অসমতার এক পৃথিবী দেখছি তায়,
বিধবার নিরব অভিশাপে প্রতি সংসারলোকে
হবে বিচ্ছেদ।মানবতা- ন্যায় অধিকার-অলীক।

একদিন আমার কুকুর টা নালিশ করবে আমার নামে,
       আমি ভূরিভোজে তৃপ্তির ঢেকুর দিয়ে বাতাসে গতর জুড়িয়েছি, কিন্তু সে আমার দরজায় ঘুর ঘুর করেছে
           অভুক্ত থেকে ফিরে গেছে তার ছানাদের কাছে,
হায়!আমার দায়, কি করে এড়িয়ে যাবো?

প্রকৃতিরা শেষ বিশ্ব যুদ্ধ করবে
                           আর পৃথিবী হবে চিতা শ্মশান
আমাদের কোন প্রযুক্তি-পরাশক্তি
                                  কোন কাজেই আসবেনা,
আমরা মরুভূমির বালির মত হয়ে থাকবো
প্রকৃতির কাছে ঋন ভেরেই চলছে কখনোই
                                      তা সোধ করবার নয়।

তাপর ভূগর্ভ হতে বিস্ফোরিত হবে
কোটি আগ্নেয়গিরি,
                        মহা সাগর গুলোও হবে অগ্নি নরক
           এর বহু আগেই আমরা হয়ে যাবো অস্তিত্ব হীন
মাঠি- সমতল ভূ -গিরি সব লাল হয়ে
আগুন হয়ে থাকবে।

তারপর আমাদের এই বাসগ্রহ হবে সমতালে
সাগর আর সাগর, জল আর জল,
                                খুব নিকটে দাড়িয়ে আছি
                       এমনি গঠতে চলেছে এই প্রকৃতি।