...............................................................
তোমার ঐ কথন,আলাদা করে দিলো একই পথকে
ক্ষুদ্র-প্রয়োজনের ওপিঠ করে দিলে আমায়-
তুমিতেই পরিপক্ষ-সাত জগতের সব স্বর্গসুখ
তোমার দয়া-দেয়াতে ভরবে আমার জীবন'
দয়া-করুনায় ভালোবাসা-প্রেম-সম্মান-সম্পর্ক?
ছড়িয়ে দিলে যেন ইউরেনিয়াম-প্লুটোনিয়ামে
হিরোশিমা-নাগাসাকির এর মত জ্বালিয়ে
পুড়িয়ে কয়লা করে ধ্বংসস্তূপ করে দিয়েছ তুমি!
তোমার এমন কথায় আমি নির্বাক!
চুপ হয়ে গেলাম- প্রাণনাশক কথা!
যেন এক সিরিজ কীটনাশক
প্রয়োগ করলে মস্তিষ্কে আমার।
আমি তোমার চিত্তের বিত্ত- ধনাঢ্য
দেখবো বলে ভিক্ষেরী হয়েছি
আমি দেখেছি কি নিঠুর খেলা
চলে তোনার ঐ ভেতর মনুস্যে।
তোমার কাছে বিশ্বস্ত কুকুর প্রাণী কেবল আমি,
এক বেলা খাবার পেয়ে যেন রাতদিন তোমার
আঙিনায় ঘুর ঘুর করে থাকা মনিবকৃতজ্ঞয়,
চোখের ভালো লাগায় হাত বুলিয়ে দেয়া,
একটু খাবার ছুড়ে দেয়া রাস্তার কুকুরই যেন,
তবুও আমি লেজ গুটিয়ে কুকুর হয়েই
তোমার মনের দ্বাররক্ষী-প্রহরী হয়ে থাকি,
তোমার ঔ অমসৃণ প্রভূত্বটা দেখবো বলে।
আমি দেখবো বলে-কেমন ভালোবাসায় রেখেছ আমায়!
এই কি তোমার ভালোবাসা-এটাইকেই কি তুমি প্রেম
বলো?
আমি অর্দমৃত হয়ে থাকি তোমাতে,
বাক অবরুদ্ধ করে রাখি নিজেকে,
আমি নির্বোধ-বোকা হয়ে রাখি আমাকে,
আমায় দেখেছি তোমার করুনাময়তায় ঔ আখী,
নয়নে কেমন খেলা চলে আমার প্রেম নিয়ে।
তোমার মগজে দির্ঘ দিন একটা অহংবুদ্ধির কৃমি
নিয়োগ করে রেখেছ আদ্যোপান্তা-
তাই তুমি 'ঔশ্বরিক-দেবি-সুরূপা-বিমূর্ততা
'এটাকেই তুমি প্রেম বলো?
এভাবেই ভালোবাসাকে তুমি বাঁচিয়ে রাখো?
এই তোমার কাছে আমি আমার আত্মা দত্তক দিয়েছি?
দির্ঘ সাল-যুগ আমার প্রাণ-হৃদয় এত এত বসন্ত-সব দিয়ে- কেবল দেহসূন্য নিয়ে আমাকে আমি টেনে পার ৷
করছি
আমি দেশান্তর হতে তোমার আবাসঘৃহে বিচরণ করেছি
আমি থেকেছি ঐ সোনার নীড়ে তোমার,
ক্ষনযাত্রা নিয়েছি-অণুসম,
কিন্তু আমি তোমার মুখোঅক্ষিতে দেখছি
এক রাশ বিব্রতা বিশ্রীতা-ঐ মলিন মুখ-,
অকথনে আমায় তাড়াও-বের করো-আমি বেরই।
আর আমি হোসানই পন্থীদের মত সারা সরীরে
ছোরা মারছি ক্ষত বিক্ষত করে রক্ত জলে গোসল করছি
তার উপর নুনের বর্ষনে মহা নিরব চিৎকার-যন্ত্রনা
তবুও আমি তোমার কুঞ্জ বটের মগডালে
পেঁচা হয়ে বসে থাকি,
আমার উপর দিয়ে চলে খরা-বৃষ্টি বান-তুপান,
কি জীবনে রেখেছ আমায়? আমি দেখি,
কোথা থাকি আমি তোমার তা বুঝতে চাই।
তোমার চোখে আমি এত বেশি অশ্রু দেখছি
এত নীল হয়েছ বেদন কষ্টে তবু আমি তোমাতে
খুজে পাইনি আমায়,
আমার জন্য যা হয় তোমার মননে
এ যেনো আসল একটা মানুষ তুমি--
এক রকম নির্দয় অগ্নিখেলা।
আমায় রাখো তুমি মৃতহিন ভাবে ময়নাতদন্তের হিমাগার লৌহ টেবিলে লাশ করে, -কি জল্লাদে আমায় খঞ্জর
দিয়ে।
বুক ছিঁড়ে গলা থেকে নাবির নিচ অব্ধি বুকের
খাঁচা খুলে টেনে টেনে ভের করছ- কলিজা-ফুসফুস-
কিডনি-হৃদপিণ্ড, হাতুড়ি আঘাতে আঘাতে
মাথা থ্যাথলে খুলি সরিয়ে মগজ বের করছ ঐ নিঠুর
হাতে।
আমার অত্যাগ আত্মা দেহের শিরা গুলো কেটে দিচ্ছো
আর রক্ত ছিটকে তোমার মুখো মন্ডল এক বিবর্ন ভংকর
মুখোশ-মানুষখ্যাকোতে দৃশ্যরূপ তুমি-তুমি যেন হিংস্র-
হায়না-চিতা-সিংহ...
তবু আমার এই প্রাণ দেহ ত্যাগ হয় না,
তোমার ঐ ভেতর বাহির চেতনে কি বর্বর
লোমহর্ষ শাস্তির খেলা চলে তা দেখবে বলে।
আমি বারংবার তোমাকে চেয়েছি
তোমার অস্তিত্ব বুঝতে চেয়েছি
তারপর তা বুঝলাম ওখানে ভিন্ন আরেক রকম
জগত,- অসীম অসমতার দেয়াল করে রেখেছ
ভালোবাসাকে তুমি এই ভাবেই সঙ্গায়ীত করো!
একটু দায় এড়াতে আমার জন্য পার্থনা-বুকে
কিছু ব্যাথার কথা বলো-যখন একাকি মনে করো
নিজেকে।
নিশিথের গভীরে ঘুম ভেঙে গেলে
মনে পড়ে আমায়-তা বলো
জোৎসনার ঢালা আলোতে আমার সুূন্যতা অনুভব করো
বৃষ্টি এলে আমায় বিষন্ন ভাবে মনে পড়ে তোমার
আমাকে পাবার এত ব্যাকুলতা, এত বিরহ'
একবুক আক্ষেপ করো-ইস! আজ রাতে যদি চন্দ্রগ্রহন
হয়ে যেত কি এমন ক্ষতি হতো!যদি উত্তাল গহন,
ডুব দিয়ে হারিয়ে যেত স্রোতস্বিনীতে,
ঝড়ে যেত শুকনো পাতা গুলো, নতুন পাতায়
নিত্য ফুল,ঘ্রাণ ছড়িয়ে মুগ্ধতায়,
মাথাল হয়ে থাকতেম তোমাতে'।
তবু তুমি অন্য আরেক তুমি- আমি তোমার বুকের
জমিনে দেখেছি মরুভূমি, তার মধ্যে খানে
লাখো আগ্নেয়গিরি গুহা, যার দহনে আমি জ্বলছিই
আমি দেখেছি তোমার করুন নয়নে-ছলনা
দেখেছি তোমার মিষ্টিহাসিকথনে-দম্ভ-আমীত্ব
পরশ্রীকাতরতা দেখছি আমি তোমার ললাট কপলে
আমি দেখেছি তোমায়- তুমি পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে গেছ
কারুর আলোকজীবন অবলোকনে,
এই তোমাকে আমিতো ভালোবাসিনি!?
এই তোমাকে আমি প্রেমে রাখনি?
এই তুমি সেই তুমি নও তুমি যেন হারিয়ে গেছ
বাইশের সিলেটি বনন্যায় তুমি যেন হারিয়ে
গেছ দুর বহুদূর যেমন হারিয় গেছে পেছনের
অনন্ত আসীম সময়।
......................................................