দূর নীলিমার পাড়ে জড়ো হলো কালের হিংসুটে পোকা!
তা দেখে কবি ইথার মিটিমিটি হাসে বাংলার আকাশে-বাতাসে,
কারণ, তরঙ্গে ভেসে ভেসে সে একদিন অমানুষদের বলেছিলো-
"আজ তোমাদের রক্তাক্ত সময়ে
আমি সবুজশোভিত বৃক্ষের দলে;
কেনো না তোমরা মানুষ হতে পারোনি...."
অমানুষের ভীড়ে দাঁড়িয়ে আছো কী স্ব-ঘোষিত ছদ্মবেশী?
আমাদের "সবুজশোভিত বৃক্ষের দলে" তোমাকে সাদর আমন্ত্রণ!
সভ্যতার নিক্তিতে নিজের বিবেককে ওজন করে দেখো
কতটা অসভ্যের মতো উন্মুক্ত নখের আচড়ে ক্ষতবিক্ষত
করেছ তুমি নিষ্পাপ কাব্যের হৃদয়!
স্বজ্ঞানে অসীম শূন্যতার অস্তিত্বকে অস্বীকার করে
স্ব চেতনায় কতখানি ঢেলেছো তুমি পাপের বিষ!
রক্তরাই যদি সম্মান না করে আপন দেহের রক্তকে
তবে বুঝে নিতেই হয়-
সে রক্তের লোহিতকণায় ধরেছে পচন!
হে কালের হিংসুটে পোকা!
অদৃশ্য ইথারের কাব্যিক চেতনায়
সংযত করো তুমি তোমার আত্মাকে!
ইথারের অস্তিত্বকে কৃতজ্ঞতা চিত্তে তুমিও স্বীকার করে নাও
কৌসম্বী কিংবা অতিরঞ্জন ফিরিস্তি আবৃত্তি করে করে....
হিংসা আর পরনিন্দার পূজো ছেড়ে প্রকাশ্যে উম্মোচিত হও তুমি,
স্বর্ণ আর লোহার ভেদাভেদ ভুলে তোমার প্রত্যাবর্তন হোক,
নির্মল আর সুন্দরের পূজারী হিসেবে,
আমি তোমার সাথে আছি তরঙ্গের মতো চঞ্চলতায়..
বুঝতে কী পারো? যেখানে করেছো তুমি শেষ
সেখান থেকেই আমি করি সভ্যতার উন্মোচন.....
২৪/৮/২০১৬