ছারপোকা তাড়াতে যতবার বালিশগুলো শুকাতে দিয়েছি চৈত্রের রোদে
যতবার ছড়ি দিয়ে পিটিয়েছি সারাদিন তোষকের শরীর অবিরত
কিংবা ইন্ডিল কিনে এনে-যতবার ছিটিয়ে দিয়েছি সাজানো কাব্যের প্রতিটি লাইনে,
ততবারই তারা লুকিয়ে পরেছে অন্ধকার তুলার ভেতর
লুকিয়ে পরেছে তারা কলমের ডগা বেয়ে কালির কালোতে।
কিছুদিন থাকে তারা ‘অজ্ঞাতবাস’
তারপর বুক ফুলিয়ে-প্রবল আক্রোশে আবার ফিরে আসে প্রতিশোধের নেশায়
আমাকেই স্বনীড় থেকে উচ্ছেদ করে জ্ঞাতিগুষ্টিসহ!
অলংকিত নামে ঝাঁক বেঁধে ফিরে আসে ছন্দ চোরের দল নিলজ্জের্র মতো
কাঁধে হিংসার বোঝা এনে ছিটিয়ে দেয় সমস্ত উঠোনে
কুটি কুটি করে ছিঁড়ে ফেলে আমার কবিতার খাতাগুলো।
লবি করে কিনে ফেলে তারা থানার চৌকিদার-দালাল-পুলিশ
ছাড়পোকাকে বিরক্ত করার অভিযোগে জেল হয় একজন লোকনাথীর....
জেল থেকে ফিরে ঘর গোছাতে আবারও ব্যস্ত হয়ে পড়ে একজন অ-কবি
তবুও, সমস্ত উঠোন জুড়ে সেদিনের ক্ষত-বিক্ষত কবিতার আত্মাগুলোর কান্না
এখনো তাড়িয়ে বেড়ায় সন্তান হারানোর বেদনার মতো,
গুমরে গুমরে কাঁদে কবিসত্ত্বার প্রতিটি রক্তকণা.....। হারানো সন্তানগুলো আজো চিৎকার করে বলে, ‘প্রতিশোধ নে লোকনাথী, প্রতিশোধ নে’.....