ধ্যানমগ্ন কেউ নেই বসে,
দীঘিপাড়ে দাঁড়িয়ে থাকা দৃপ্তহস্ত সৌধটা খুব একা_
শিখরের মগজে তার সংসার পেতেছে দুটি অলস ফিঙে;
ভোরের আকাশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কয়েকটা শকুন
খাদ্যাভ্যাস পাল্টে আজ তারা গৃহপালিত তৃণভোজী
ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে
শস্যভাণ্ডারে জমা রাখা কৃষকের বীজ
ঢং-ঢং-ঢং করে যুদ্ধে যাবার ঘণ্টা বাজাচ্ছে দফতরি
তাড়াতে হবে উঠোনে জেঁকে বসা উটকো মেহমান!
চেতনানাশক নিয়ে বিশ্রামে আছেন দিনপতি
বহুদিন হলো অজানা আক্রোশে
নিভিয়ে রেখেছেন তিনি তত্ত্বজ্ঞানের বাতি!
হাতের তালুতে সেই আগেকার মতোই অমসৃণ দাগ
অন্ধকারেও খোদাই করা হস্তরেখা গুলো পড়ে
আমি আমার নিশ্চিত ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারি;
জানি
চেতনাধারীর নাটায়ে বাধা আমার নিয়তি
সুতীক্ষ্ণ ধারালো ছুরির আঘাতে একদিন এই বুক ক্ষতবিক্ষত হয়ে যাবে।