কতকাল এই অন্ধকারের সীমানায় একা একা বসে আছি?
কতকাল নিঃসঙ্গতাকে সাথী করে -স্তিমিত এই আঁধারের ভাঁজে ন্যুজ হয়ে বসে আছি?
জানি না—!
শুধু জানি, এখন আর কারো মনে পড়ে না এই তুচ্ছ আমাকে
কেউ আর নেয় না আমার খোঁজ
শান্তনা দিতে এই কুঁড়েঘরে কেউ আর দেয় না কখনো উকি!
ডাকঘরেরর পিয়নও চিঠি হাতে এসে ডাকে না কখনো আর
হয়তো ঠিকানা হারিয়ে ফেলেছে পরিচিত স্বজনেরা!
আমি তবে আহা কিভাবে এখন নিঃস্ব জীবন কাটাই!
এই স্থবিরতা ভেঙে কিভাবে আবার চঞ্চল হয়ে জাগি?
আজ অন্ধকারের এই অগোছালো কুঁড়েঘরে বসে
স্মৃতির চৌহদ্দিতে ঝাপসা হয়ে আসা প্রিয়জনদের মুখচ্ছবিই শুধু ভেবে যাই সঙ্গোপনে;
আজ আমি শুধু আমার ভালোবাসার উঠোনে আঁকা
প্রেমিকার অস্পষ্ট জলছাপ দেখে দেখে -দীর্ঘশ্বাসে ভরে ফেলি পৃথিবীর সুখের জমিন!
আজও একবুক আশা নিয়ে দীর্ঘ প্রতীক্ষায় থাকি-
একখানা খামে ভরা চিঠি হাতে–
এই বুঝি ডাকপিয়ন এসে দরজার খিল নাড়ে!