অন্ধকার রাত্রির ভেলায় ভাসিয়ে কবিতার খাতাগুলো
যখন একজন সৌমেন চলে যায় অজ্ঞাতবাসে, হয়তো অভিমানে
নয়তো সংসার ধর্মের ব্যস্ততায়, তখনো ছুটে চলে শ্রাবণের মেঘগুলো
দ্রুতগামী রেলগাড়ির মতন;
চলন্ত ট্রেনের জানালা দিয়ে বারবার
কয়েকটি কবিতার পঙতিরা উঁকি দেয় তবু,
দেখে, পেছনে পড়ে আছে কিছু মিলনের স্মৃতি, আর পড়ে আছে
কবির বিচ্ছেদে কাতর ধূসর বিরহী এক ফাকা ইস্টিশন…;
অবশ্য খানিক বাদেই নতুন যাত্রীরা পুনরায় ভিড় করে ইস্টিশনে এসে
টিকেটের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হয় আবারও…
যখন একজন সৌমেন চলে যায় সংসার ধর্মের ব্যস্ততায়
দু'ফোটা অশ্রুজল ফেলে কেউ কেউ তার চলে যাবার বিচ্ছেদে;
হয়তো কোনো এক আবৃত্তি প্রেমিক ডুকরে ডুকরে কাঁদে সারারাত
পিতাহারা কিশোরের মতো,
কিন্তু আমি বসে বসে ভাবি, ছারপোকাদের কী কোন সংসার নেই?
লেপ-তোষক ফেলে-তারা তো কোথাও যায় না কখনো চলে….!
পরক্ষণেই ভাবি, ছাড়পোকাদের কিইবা এমন কাজ থাকে?
শুধু অন্ধকারের চিপাই বসে যৌনকর্ম আর বংশবৃদ্ধি ছাড়া!
এডিস মশাদের কোনো কাজ থাকে না, থাকে না সংসার ধর্ম
ছারপোকাদের কোনো কাজ থাকে না, থাকে না সংসার ধর্ম,
সংসার ধর্মে কেবলই ব্যস্ত হয়ে পড়ে একজন সৌমেন দা,
একজন নিঃস্বার্থ কাব্য প্রেমিক।
২০/৭/২০১৬
-------------------------------------------------
কবিতাটি কবি সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায়'কে উৎসর্গ করলাম। তিনি এই আসর ছেড়ে চলে গেছেন। জীবনের ব্যস্ত চলার পথে অনেক দিয়েছেন তিনি এই আসরকে, আমাদেরকে বারবার ভাসিয়েছেন মুগ্ধতায় তার কবিতা ও আবৃত্তি দিয়ে। তিনি যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন, সুখে থাকুন এই কামনা আজ। তাকে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানাতেই আমার আজকের এই কবিতা।