আজ বড় বিষণ্ণ মন
কোথায় যেন উড়ে গেছে পাখি,
নদীও শুকিয়ে গেছে বিষণ্ণ খরায়
সব ফুল ঝরে গেছে গত রাতে!
আকাশে জমেছে মেঘ বিজলি চমকায়
তবুও বৃষ্টি হবে না জানি,
হবে ঝড়; মুসাফির হারাবে পথ
অন্ধকারে থেমে যাবে পথিকের গতি!
মুখ ফিরে নিবে তারা
চাঁদও অচেনা হবে একদিন,
নিশ্বাস বিষাক্ত বাতাস ছড়াবে চারপাশ
রক্তে মিশে যাবে পুঁজ!
তবুও; থমকে যেও না লোকনাথী!
মেঘ মেঘে চুমু দেয় বিজলী চমকায়
মূলতঃ তোমাকে দেখাতেই পথ;
আর ঐ দূর সমুদ্র ডেকে কয়
আধাঁরকে পেছনে ফেলে আসো লোকনাথী
অর্ধ পৃথিবীর অধীশ্বর তুমি
আরও অর্ধেক বাকী।
পেছনে তাকানোর প্রয়োজন নেই কোন
যে বাঁধার সৃষ্টি করেছিলো এতোদিন
সম্মুখে চেয়ে দেখো
দুবাহু বাড়িয়ে সে ডাকছে তোমায়!
কিসের ভয় লোকনাথী!
ঐ দূর নীল আকাশ তোমায় ভালোবাসে
ভালোবেসে কাছে ডাকে নদী,
ভালোবাসে জেগে ওঠা চর;
বৃক্ষরা তোমায় ভালোবাসে
ভালোবাসে ডালপালা,
ভালোবাসে মাটির গভীরে ঘুমিয়ে থাকা শেকড়।
মেঠোপথ তোমায় ভালোবাসে
ভালোবাসে কৃষাণ বধু,
ভালোবাসে কৃষকের হাড়
উড়ে চলা পাখি, ভালোবাসে পাখির সন্তান।
পিছুটান তবে কিসে লোকনাথী!
শৃঙ্খলতার পিছুটান ফেলে
বজ্রবেগে ছুটে চলো;
দক্ষিণে মঞ্চ সাজিয়ে রেখেছে ওরা
তোমার তো সেখানে কবিতা বলার কথা।
নতুন কোনো কবিতা লিখেছো কি তাদের জন্য
ধবধবে সাদা কাগজে, এই নাও কালো কালি।
এ কী! তোমার হাত কাঁপছে দেখি!
এমন কোন কঠিন কাজ এটি নয়
অঙ্গীকার করে তুমি এসেছো, তোমাকে পারতেই হবে।
তোমাকে লিখতেই হবে, ভালোবাসার প্রতিদানে।
লোকনাথী; দূর অন্ধকারের সীমানার ওপাড়ে তাকিয়ে দেখো
সাদা-কালো মানুষের দীর্ঘ মিছিল, সংঘাত-
মাঝখানে সমাধান হতে পারো না তুমি?
ঘোচাতে পারো না এ বিবর্ণ-ভেদাভেদ?
আরও জোড়ে লোকনাথী, বজ্রবেগে ছুটে চলো
ছুটে চলো সূর্যের কাছাকাছি
অতীত যেখানে ভুলার প্রতিযোগিতায়।