আমি ও নদী

এখনও একাকী দাঁড়িয়ে আমি একাধিক বেলা
মনে করিয়ে দেয় আছড়ে পড়া সাইডুলির ঢেউ
বহু দীর্ঘ সময়ের মতো সঙ্গে ছিলোনা কখনো কেউ।

হাহাকার

সাঁজানো ঘরের নকশায় হাত রাখি  যখন
ওতপাতা নাকে ঠেস খায় সেই পুরোনো ঘ্রাণ
মধ্য পূর্ণির উত্তাপে বাজে কেন বৃষ্টির গান!

বিভ্রম

বাঁশপাতার ফাঁকে এখনো খেলা করে ভরা পূর্ণিমা
সান্ধ্য হাওয়ায় অযাচিত মেঘ খুঁজে রাত্রির ঠিকানা
আমি এখনও খুঁজে ফিরি সেই বিস্মৃতির সীমানা।

চুরি

নিঃশব্দে চোখ রাখি পাপড়ির ভেতরে
স্ব-যত্নে বিছানায় রাতভর রেখেছি লুকিয়ে ঘুম
স্বপ্ন আমার নিয়ে গেছে সেই কবে ছেঁড়া কাঁথার ওম।

দুঃখ

যে গেছে তার চলে যাওয়া নিয়ে কেন ছন্নছাড়া দীর্ঘশ্বাস
ও-ই বুঝি জোছনা ডুবে মরলো পাটেশ্বরীর বুকে
শিশিরে লিখা চিরকুট ভরে থাকে চৈতালি দুখে।