নন্দিনী :



পাপড়ি!,
তোমাকে দেখার ইচ্ছে আমার আর জাগে না
আগে অনেক জাগ তো
তুমি হয়তো আগের মতো নেই
আমিও একটু বদলে ছি
মান্নাদের-"কত দিন দেখিনি তোমায়" গান শোনা হয়না
জীবনানন্দ দাশ এর -"বনলতা সেন" কবিতা গুলো ও পড়া হয়না,

গোলাপী!
তোমা তেও কি আমার মত নিজেকে মানিয়ে নিয়েছ?

তুমি না একদিন নিকোটিন এর ব্যাপারে বলতে,
আজো আমায় বলে, অন্য কেউ!
কোন পয়দা হয়নি,
কিছু অনুশাসনে নিজেকে আদৌ মানিয়ে নিতে পারিনি
তুমি কি শেষ রাতে, আকাশ দেখো?
হ্যা,দেখো,
তবে কি তুমি আমায় দেখ না? ঔ দূর, অনেক দূর,

পাপড়ি!,
তুমি কি বৃষ্টিতে খুব ভেজো?
কাকে নিয়ে ভেজবার কথা ছিল
কে ভেজ লো বারংবার!

আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি

গোলাপী!
তোমাকে দেখতে মন চাইছে বড্ড ই
তুমি কত খানি ঠিক আছো
তুমি কি রোজ শাড়ী পড়ো?
কোন রঙের?
লাল?
নাকি-নীল?
তুমি কি সেই বাবেই হাসো,-যে হাসিতে ঘুমন্ত পক্ষী-প্রকৃতীরা নেচে উঠত,

বড় বেশি তোমার চোখ যুগল নীল ছিল
যেখানে ছিল হাজার স্বপ্নের সরল ঢেউ
তা কি আজো আছে?
না কি সে দুচোখ অন্য
কিছু রচনা করছে?
করবেই তো,করবারইতো ছিল

তোমাকে দেখার ইচ্ছে আমার আর জাগে না
শুধু তোমার চারআঙুলি কপাল টা দেখতে মন চায়
কপালের সুখ রেখা তো আজ
প্রিন্টিং করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা যায়
কিন্তু ভেতরের ক্ষত বিক্ষত? তা কি করে সামাল দেবে?

গোলাপী!
তুমি খুব জেদি! এখনো কি তাই?
রাগ করলে তুমি,মুখখানি লালে লাল হয়ে যেত
লাল কি এখনো হয়! তা দেখবো বলে তোমাতে দেখার খুব ইচ্ছে জাগে,,
আজ দুই যুগ ছুঁই ছুঁই দেখেছি তোমায় প্রথম,
১২ বছরের এক কিশোরী,
যৌবনের পারম্ব কালে -,
শরীরের সবটুকু রুপ, যেনো - ,
এক একটি গোলাপের পাপড়ি ।।
কতই না বাহার ছিল,,
কতই না আড় ঘুমান ।।

আজ অনেক বছর, বহু বছর,
কেটেছে বসন্ত,
বর্ষা -তুফান কেটেছে -,
তুমি কি সেই ১২ বছরের তেমন তরুণী?
তোমায় দেখতে আর ইচ্ছে হয় না আমার ।।

গোলাপী তুমি কি কবিতা লেখো?
নাকি ঝগড়া র ছন্দ আঁকো?
কপলে সেই ছোট্ট টিপ কি দাও ?
নাকি তা বড় দাও?
আমি না লাগাম হীন কথা বলতে শিখেছি-,,
যেই আমি আগে অনেক বোকা ছিলাম,তুমি বলতে-,
তোমায় তবুও একটু খানি দেখতে মন চাইছে,

নন্দিনী!