"মা তুমি "

তুমি মন খারাপ করে বসে আছো মা?।
বাঁকা পথে তুমি ঘুরে ঘুরে তাকাও-
সত্যি কি আমি বাড়ী আসছি না?

দিন আসে দিন যায়,
মানুষ কি চায় আর কি পায়,
আমিও কিছু বুঝি না কি পেলাম,
আর কি হারালাম,,

একটা কষ্টের নূড়ী পাথর,
বিষাদের নঙড়, বুকটা খনন করছে,
আমি বুঝি না মানুষ কেন আশা বাঁধে,
কেন গোমড়ীয়ে নীরবে কাঁদে,,

তোমার কেন এত কষ্ট বলত মা?
তুমি কি সব ভুলে যেতে পার না আমার মত?
দেখ না, আমি তোমাকে ভুলে গেছি,
আমার কোন কষ্ট নেই,

আমি আমার সেই,
তুমি ব্যাধি আক্রান্ত সারাটি জীবন আমার জন্য,
আমি পাষণ্ড পাথর,
তাই আজ এত দূর,

তুমি কেন এত ভালবাস আমায়!?
মৃত্যু কে তুমি বড় ভয় পাও আমি এতিম হব বলে,
আবার মৃত্যু কে বরন করে নাও আমার অসুখ করলে।।

সু দিনের অপেক্ষায় আমি আজ আমার আদালতে - আমি এক অমানুষ,
আমি আজ কষ্টের নীল শীখায় বেশে চলছি,
জানি তোমার হাতে এখন -নাপ- এইস কেনার পয়সা নেই,,
তুমি আজ বড় শূন্য মা....,
আমার ইচ্ছে করে না তোমাকে একানা দেই,
আবার বড় সাধ জাগে তোমাকে আমার হৃদপিণ্ড দেই,

আমায় নিয়ে ভাবতে ভাবতে রাতে কম ঘুমাও -,
তাও যত টুকু ঘুমাও ,সব টুকু জুড়ে ই বিরল এক দূর্স্বপ্ন,

তুমি-তোমাকে সহজ কর মা ...,
আমার ঋণের বোজা অনেক ভারি,
যা আমি সইতে পারিনা,
আজ বড় একা কি হয়ে গেছি মা,
আমি নিঃশেষ নিষ্প্রাণ হয়ে পরে থাকি,
স্পর্শ করেও দেখেনি,

বড় অন্ধকারে তলিয়ে গেছি,
তবুও তোমার ভালোবাসায় বেঁচে আছি,,
কবে আসবে স্বর্নসময়,,
বড় গলায় তোমার সম্মুখে দাঁড়াবো,,

জীবনের প্রতিটা দিন জ্বলছি -পুড়ছি,
সুখের হাওয়া লাগে নি কখন প্রাণে,,
তাই চরম ব্যাধিতে কাৎরাচ্ছি,,

তুমি আজ মহা পরাজিত দারিদ্রের তারনায় - আমি নেই তুম কোলে,
ডুবে আছ কান্নার জলে,,
বুক পাঠা তারার ক্রন্দনে,,

আমি এখন আছি ঘরে ,চার পাশ -
অগোছালো-বই- খাতা- পত্র, খবরের কাগজ-ম্যাগাজিন,
ধূলী-বালুর চাদর ঝড়ানো সব,
চোখ ঘুড়িয়ে তাকালে ই অসহ্য লাগে,

বড় বেশি মনে পরছে তোমাকে মা মনি,
আমি না, কান্না করছি তোমার জন্য!,,
অবাক ব্যাপার -এক পোঁটা জল ও এল না!!

শুধু বুকের বেতরটায় অন্তর্বেদনা বোধ করছিলাম,,
আমি আজ প্রতিবন্ধী,
খুব অল্পেই ভেঙে পরি,,
তবু আমি পাথর পাষণ্ড -
তোমায় ভুলে মা স দূর,,
দীর্ঘশ্বাস পেলে করিনি কোন আক্ষেপ ।।

[রচনা কাল,১৫/১/২০০৬ ইং]