আপনাকে স্মরণ করতে হবে, আপনি একজন যোদ্ধা”।
আপনি যুদ্ধ করার জন্যই জন্ম নিয়েছেন। আর এ যুদ্ধে আপনি জিতবেন, আপনাকে জিততে হবে। এ জয় ছাড়া আপনার হাতে আর কোনো অপশন নেই। দমবন্ধ এই পৃথিবীতে আপনার খুঁজে নিতে হবে মুক্ত বাতাস। যেখানে চোখবুজে লম্বা শ্বাস টেনে নিলে নির্মল শীতল বাতাস পূর্ণ করবে আপনার প্রতিটি অ্যালভিওলাস।

কিন্তু তোমার স্নিগ্ধ মুখটাতে আজকের মতো অসভ্য অশ্লীল কলুষিত বাতাস হয়তো পৃথিবীর শত সহস্র বছরের ইতিহাসে আর কখনো প্রবাহিত হয়নি। কিছু অন্ধকার আতঙ্কিত করে, কিছু অন্ধকার মানুষকে আকর্ষণ করে। আবদ্ধ করে অবোধ্য, অনতিক্রম্য লালসা আর কৌতূহলের জালে।

প্রতিটা উদ্দাম কলেজপড়ুয়া স্বপ্নবাজ তরুণ, ভার্সিটির চোখ নামিয়ে চলা প্র্যাক্টিসিং ছাত্র, গালফোলা দুই বেণিওয়ালা বাচ্চা মেয়ে, জ্যামে ঝুলে থাকা প্রতিটি কর্মজীবীর ঘর্মাক্ত মুখের দিকে তাকান।আপনার কেবল দাঁড়াতে শেখা মেয়েটার দিকে একটু তাকান না? সদ্যভূমিষ্ঠ ছেলেটার দিকে তাকান।এক কঠিন দুরারোগ্য অসুখে ভুগছে প্রতিটি মানবসন্তান। অথবা যেকোনো সময় মহামারির গ্রাস হবার অপেক্ষায়।

টিভি বিজ্ঞাপন, বিলবোর্ড, ম্যাগাযিন, মুভি, মিউযিক, সংবাদ পত্র, সাহিত্য, কবিতা সবকিছুই আজ চরম যৌনায়িত। পনোগ্রাফি। ব্লু ফিল্ম।লজ্জাহীনতা।অশ্লীলতা।নগ্নতা।
আজ ব্যক্তিসত্তা, সমাজমানসকে প্রতিমুহূর্তেই একটা অসুখে পরিণত করছে।
মড়মড় করে ভাঙছে পরিবার, ভাঙছে সমাজ, ভাঙছে আইন, মূল্যবোধ-ভাঙছে জীবন-এক একটা স্বপ্ন খানখান হয়ে ভেঙে যাচ্ছে। যেগুলো ভাঙেনি ঝুরঝুরে হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটু ঝাঁপটার অপেক্ষায়।

এ রকম এক প্রতিকূল পরিবেশে কী এক অস্থিরতার মধ্যে কিশোর, তরুণদের দিন কাটাতে হয়, সেটা আমাদের আগের প্রজন্ম কখনো ঠিকমতো বুঝতে পারবে কি না সন্দেহ।


১২ ডিসেম্বর ২০২৪। রাত ২ঃ১৩। কবিতা লেখা। যাত্রাবাড়ী, ধোলাইপাড়।