আমি মাটির দেয়ালে ভাঙা জানালার পাশে দেখি
নরম বিকেলে আসে সূর্যের ঠান্ডা তাপ চোখে
নারকেল-কামরাঙ্গা পাতাদের ফাঁকে ফাঁকে ।
কি আশ্চর্য করেছে আমায় বাংলার সূর্য !
বাংলার পাতা ,বাংলার ঘ্রাণ !
অর্ধেক পাটের জমি ছায়ায় হয়েছে অন্ধকার ।
হঠাত্ পুকুরে নামে ঝাপ দিয়ে ভেলুয়ার মেয়ে
তার কালো চুল ভাসে সেই জলে পদ্মফুল হয়ে
ভেজা শরীরের সাথে জলে জলে হয় কানকথা ।
কিছুদূরে মাটির চৌকিতে ঘাসের ফোলা বিছানা
সেখানে বসেছে এক উদাস রাখাল -বাঁশি ঠোঁটে
যুবতী অপ্সরা বাংলাকে দেখে দেখে একবার
আঙুলের বাঁশি ফেলে মাটিতে ,হয়েছে যেন কবি সে ।
ছোট সাদা জমিটায় খেলা হয় মানুষ-পশুর
পাশে থেকে নাকে আসে বাদামী ভূসির তাজা গন্ধ
সে ঘ্রাণ মেখেছি দেহে ;মহিলার প্রসাধনী যেন ।
চুলের ওপরে বাসা পায়রার
সেই ডাক শুনে শুনে কত ঘুম ঘুমিয়েছি আমি
বালিশ মাথায় নেই ।
এখানে মাটির ভাঙা জানালায় বসে চেয়ে দেখি
বাহিরে ডেকেছে যেন আঙুলটা পুনপুনঃ নেড়ে
বড় তেঁতুল গাছের নিচে আমার বিধবা মা সে -
সে আমার স্নিগ্ধা বাংলা ,ছুটে যাই আমি তার কোলে
মিশে হই সবুজ সন্তান ।।