সূর্যটা সুপোরি বনে লুকিয়ে যায় - ঘুমিয়ে যায়
গোধূলি হয়েছে বলে ;এমন সময় প্রকৃতিকে
ঘুমন্ত নারীর মত মনে হয় ,নিস্তেজ রমনী
চোখ যেন রক্তপাত করে - চারিদিক রণমাঠ ।
বিলের ওপর বাঁকা ডালে ঝিমতন্দ্র মাছরাঙা
ফিরে যায় বিল ছেয়ে -বন ছেয়ে-খড়কুটো গৃহে ।
সন্ধ্যা -এমনি সন্ধ্যায় --
চোখের ছাদে মেঘের সমাপনী ঠোঁটফাঁটা হাসি
থেমে-থেমে-থেমে আসে ,কালো-কালো-কালো হয়ে আসে
যেন কৃষ্ণকলি মেঘ ।গাছের পাতায় ছায়াক্লান্ত ;
প্রিয় পদ্ম ,গন্ধহীন ফেনাফুল মৃদু নিভে আসে
হাওড়ের বিছানায় নামে অন্ধকার হারিকেন ।
এমন সময়ে যেন প্রাচীন ঘুমন্ত কিছু রূপ
ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে শরীরের যবনিকা খুলে -
প্রকৃতির স্নিগ্ধ প্রতি অঙ্গে ;
সেই রূপ গায়ে মেখে -
অশালীন কাক যেন হঠাত্ হয়েছে সুদর্শনা !
যুবতীর কন্ঠ তার ঠোঁটে ।