গোধূলি বেলায় গরু লইয়া ছুটি বাড়ীর পানে,
বাঁশির সুরে বাছুর চলে আনমনে।
ঝোপের মাঝে ঝিঁঝিঁ ডাকে উচ্চস্বরে,
অবুঝ শাবক সেদিকেই যায় শুধু ধেয়ে ।
কান মুলে লাগাই তাদের বাঁশির খোঁচা ,
আবার চলে সব লেজ দুলিয়ে সোজা।
আসি যখন খালের পাড়ে হিজল তলে,
বাগদি বুড়ি কলমি শাক তোলে হাঁটু জলে।
অদূরে ভেসে আসে গৃহবধূর শাঁখ-উলুর ধ্বনি,
মাঠ ছেড়ে ওঠে চাষী নাঙ্গল টানি।
হতভাগা শিশু করেছে ধুলো মাখা-মাখি-
মায়ের বকুনিতে উচ্চকণ্ঠে ঘোষিতেছে আঁখি।
মাথার উপর উঠিতে চায় আধফালি চাঁদ।
পল্লীগ্রামেই পেয়েছি জীবনেরই আসল স্বাদ।।