জীবনের শেষ দিনে অনুমতি চাই সবার কাছে।
যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি একা ভুল না হয় পাছে ।
মা' কে বললাম যদি কখনো আমি যাই চলে ,
সেদিন কাঁদবে কি আমায় বুকে তুলে ?
বাজে বকিস না তো সামনে হতে হাট।
রয়েছে অনেক কাজ ঘর-দোর মাঠ ঘাট।
জানি কখনোই বুঝবে না আমার জন্মদাত্রী।
তাইতো হয়েছি একাকিত্বের সহযাত্রী।
দৌড়ে গেলাম এবার বাবার কাছেতে ।
বাবা আমি কিন্তু যাচ্ছি মরিতে ।
মুখ না তুলেই বলিল বাবা আচ্ছা যাও।
তার আগে রেশন থেকে বাজার এনে দাও।
কাঁদতে কাঁদতে এলাম দাদার ঘরে।
দাদা পা তুলে হিন্দি গানের সুর ধরে।
জোর গলায় বললাম সত্যি যাচ্ছি চলে।
তা আমায় কেন মা'কে যা না বলে।
বুঝলাম বুঝবেনা এরা আমার মনের ব্যথা।
অবশেষে এক পাগলকে বললাম মনের কথা।
মাথা চুলকায় আর গালি দেয় পাগল।
তুমি মস্ত বোকা আস্ত একটা ছাগল।
নিজের শরীরে মনে যার নেই অধিকার ,
আত্মহত্যার অনুমতি কে দেবে তার।
জানিনা শেষের দুই লাইনে কি বলিল সে।
নিজের কাছে লজ্জিত হয়ে ফিরে এলাম গৃহেতে।
কিন্তু যদি আবার জেগে ওঠে সেই বেদনা।
সেদিন পাগল না থাকিলে কে দেবে চেতনা ?