মানুষের সব অবাক দৃষ্টি,
পটকার মনে উচ্ছ্বাসের সৃষ্টি ।
শ্বশুর বাড়ির প্রথম দিন
বুঝি শরনিত হবে চিরদিন।

বাড়িতে কি আছেন কেউ ?
লেরোটা ডাকে ঘেউ ঘেউ।
হাঁস মুরগির সব ঝটপট করে
লেরোটা বুঝি ঝাঁপিয়ে পড়ে।

গতিক ঠিক ভালো নয় -
পটকার এবার লাগলো ভয়।
দৌড় দিলো সে ঘর পানে,
ঘেউ ঘেউ এখন তার  কানে।

অবশেষে বুদ্ধির ঘন্টা হল খাড়া
এক লাফে ধরল বাঁশের আড়া।
হাঁস,মুরগি সব গেল উরে
খাটে মৃতপ্রায় বুড়ির গেল চাদর সরে।

বুড়ির নিথর সে দু-চোখে -
জল জল করে হা মুখে।
পটকার এবার হলো মায়া
দুয়ারে আছে যে লেরোর ছায়া

পারলো না সে আর নামতে
বাধ্য হল কৃষ্ণ নাম জপতে ।
ওরে কই মেয়ে, কোথায় বাপ?
চৌকাট থেকে নামছে বিষাক্ত সাপ।

ভয় পটকার প্যান্ট ভিজিয়ে-
নামে লবণাক্ত রস,
জল ভেবে তাই পানে
বুড়ির হল স্বর্গবাস ।।

খানিক বাদেই এল সভায়
কে ও চোর নাকি মাররে ভাই।
পটকার বাঁধা হলো গাছের সাথে
বুড়ি পুরিলো সেই রাতে।

আরে আমি পাটকা চোর নই,
মেয়ে দেখালে বিদায় হই।
এত রাতে  মেয়ে-ছেলের নেশা,
বজ্জাত এটাও তার পেশা।

না, না আমি পটকা 'পটকা দাস'
পূব গায়ে  আমার বাস।
ঢাল তেল লাগা আগুন
পুরিয়ে আজ বানাবো বেগুন।।

(পাঠক "পটকার" কি এবার বিয়ে দেব জানাবেন plz🤪🤪)