দারিদ্রের থাবা
আজও ব্যস্ত শহর যখন থমকে দাঁড়িয়ে পড়ে।
বস্তির ছোট্ট ঘরে সেদিনও কি উনুনে হাড়ি চড়ে?
না কি আকাশের চাঁদ রুটি ভেবে সব খাই ছিড়ে।
তারপরে জল খেয়ে সকলে কী যায় নীরে।
ধন্যবাদ সৃষ্টিকর্তাকে আমাদের সেখানে না পাঠানোর জন্য।
ছুটির আয়েশে রকমারি রেসিপিতে করছি জীবন ধন্য।
কি হবে ভেবে কি খেয়েছে সেই বাবলু না কাদের ।
তাদের জন্য সরকার আছে ঠিকই উপায় হবে ওদের।
হু উপায় তো হবে, উপায় না হলে ভোট দেওয়ায় বা কেন ?
ওরা সমাজের ঠিক লাউ- কুমড়ো যেন।
সরকার সাহায্যের মাচা বানিয়ে করছে ওদের দূর্বল।
তারপর ফল ছিঁড়ে ছিঁড়ে রাজনীতি কে করছে সবল।
আরে ওরা কী সত্যিই চাই কোন সাহায্যের মাচা।
নির্দিষ্ট কর্মস্থান দিলেই জুটতো না তো এই গরিবের খোঁচা।
আরে দূর দূর কেন যে ভাবি হতচ্ছাড়া দের কথা
দিব্যি তো ভালোই আছে ড্রইংরুমে নিয়ে কাব্যগাথা।
শুধু ভয় লাগে রাস্তার পাশে ওই দুজনের মূর্তি দেখে।
যদি প্রশ্ন করে বসে এই কঠিন দিনে কি করে খাচ্ছো খাবার গরিব ভাইদের রেখে।
সেবারে এক হয়ে ইংরেজ তাড়িয়ে ছিলাম বুকের রক্ত ঝরিয়ে।
"তবে তোমরা কেন পারছনা জিততে করোনাকে হারিয়ে।"