অসমাপ্ত গল্প
শিয়ালদা স্টেশন থেকে দুপুর ১২,৪৭ বনগাঁ লোকাল ধরলাম আমি ও শীর্ষেন্দু গন্তব্যস্থল শীর্ষেন্দুর বাড়ি চাঁদপাড়া।
যেহেতু ট্রেন ঢোকার অনেক পরে আমরা উঠেছিস সুতরাং বসবার কোন জায়গা নেই সামনে থেকে চতুর্থ কামরার লাস্ট গেটে উঠলাম ।শীর্ষেন্দু খানিক এদিক ওদিক করে একরকম হুড়মুড়িয়ে এক ভদ্রলোকের সামনে গিয়ে দাঁড়াল।
আমি আবার ট্রেনে উঠে এমন ভাবে ভাব করতে পারি না বসতে পারলে ভালো আর তা না হলে দু ঘন্টা দাড়িয়ে চলে যাব । ও আমাকে আর অবাক করে ভদ্রলোক জিজ্ঞাসা করল মনে হচ্ছে স্যার ক্যান্টরনমেন্টে নামবেন লোকটা একটু হকচকিয়ে বলল হ্যাঁ ।
মানুষ দেখে তার মনে কি চলছে সেটা বোঝা শীর্ষেন্দুর অনেক দিনের একটা বাজে অভ্যাস ।
যথারীতি ক্যান্টনরমেন্টে ও আমাকে বসতে দিয়ে আরও অবাক করে বাইরে যেতে চাইলো আমি জানি ওর মনে কিছু চলছে তাই কৌতুহল না সামলাতে পেরে বলে বাসলাম কি ব্যাপার রে ।
এখানে সিট পেয়ে যাব কিভাবে বুঝলি ? ও বলল লোকটা পরনে কি পোশাক ছিল দেখেছিলি? আমি বললাম তেমন বিশেষ কিছুই তো না।
শীর্ষেন্দু বলল তবু লোকটার জুতোটা দেখেছিস অনেকটা কারখানার সেফটি সু এর মতো।
তাতে কী এসে যায় আমি বললাম ।
তুই বুঝলি কিভাবে উনি ওখানে নামবেন সেটা বল ? দেখ তুই হয়তো জানিস না ক্যান্টনরমেন্টে এখন মেট্রোর কাজ হচ্ছে সেখানে শ্রমিক দের জুতো ওই রকম।
দ্বিতীয়তঃ উনি বার বার নিজের হাত ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছিলেন হয়তো ১ মধ্যে joining করতে হবে তারপরে ওনার চোখে-মুখে একটা বিচলতার ছাপ স্পষ্ট। আর উনি শ্রমিক এটা কিভাবে বঝলি।
আর দেখ ওনার হাতঘড়ির একটা বেল্ট ছেঁড়া আছে যেটা খুব হলে পাঁচ থেকে দশ টাকায় সারানো যাবে কিন্তু আজ মাসের 26 তারিখ সেই জন্য হয়তো পরিবর্তন করা হয়নি।
বুঝলাম কিন্তু তুই গেটে যেতে চাইছিস তার কারণটা কি ?
শীর্ষেন্দু একটু হাসে বলল ওই বৌদি টা কে দেখছিস
রড ধরে বাইরে ঝুঁকে আছে সম্ভবত বারাসাত ছাড়ার পরেই লাফ দেবেন।
এটা একটু বেশি হচ্ছে না ! ও একটু হেসে গেটের দিকে এগিয়ে গেল । সত্যি সেদিন বৌদি মারতেই যাচ্ছিল শীর্ষেন্দুর জন্য কোনোরকমে বাঁচানো সম্ভব হয়েছিল। সেই ঘটনা অন্য একদিন বলব----'