আমি গ্রাজুয়েট
শীর্ষেন্দু বৈরাগী
দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে গ্রাজুয়েট তকমা পেলাম এত আনন্দ খুশি নিয়ে যখন বাড়ি ফিরছিলাম,
তখন হতভাগা গুলো কেন যে সামনে চলে আসে।
আরে ওই তো সেই ভিখারি টা । মনে আছে কলেজের প্রথম দিনে
৫ টাকা নিয়েছিল ঝেড়ে বাবাকে বোকা ভেবে দেখে শুনে।
সে আজ আবার আমার কাছে টাকা চাইছে আমি দেবো কি ভাবলো ও
আমি না আজ গ্রাজুয়েট আমার দৃষ্টিভঙ্গি হবে "দার্শনিক" "বৈজ্ঞানিক" আমার চিন্তা হবে নক্ষত্রমন্ডলের মানবের অস্তিত্ব নীয়ে। বাস্তবের এই কীট গুলোর অস্তিত্ব আমাকে আর প্রভাবিত করতেই পারবে না।
তারপর শব্দ করে সদ্য হকারি হওয়া দাদাটা যখন গলা ছেড়ে বদছে ৫ পেন মাত্র ১0, অসহ্য হয়ে হেডফোন ঢোকালাম কানে।
আর কাজ পেলোনা খুব হাসি পেল আমার ডুবন্ত ব্যবসা আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে ওরা কি জানে না খাতা পেনের চল এবার উঠে যাচ্ছে আস্তে আস্তে অনলাইনে পড়াশোনার থাবরে।
ট্রেন যখন এক প্লাটফর্মে দাঁড়ালো অমনি এক পাগলী নিজের লজ্জা নিবারন হিসেবে আলুর বস্তা গায়ে। জানলার কাছে এসে যখন মুখ ভেংচে হাত পাতলো তখন সজোরে দিলাম জানালাটা নামিয়ে।
এরপর বাড়ি এসে যখন ঠাকুর ঘরে গেলাম সুখবরটা জানাতে বললাম মা" আমি গ্যাজুয়েট। কোন উত্তর দিল না "মা" তবে মায়ের মুখে অদ্ভুত এক হাসি জানিয়ে দিলো যে হু আমি- জানি আজ তুমিও গ্রাজুয়েট ।।