সমুদ্র সৈকত অনুকুল পরিবেশ, পর্যটকরা রেখেছে ঘিরে,
হাটা-চলা যায় না সফররত অতিথির ভীড়ে।
সমুদ্রের ডাক শুনি কল্পনায় কিছুটা ভ্রান্তিতে,
সারাদিন কেটে গেলো সমুদ্রের কথাই ভেবে।
একরাশ নীলছে আলোর জলোচ্ছ্বাস সেথায়,
টেনে নিয়ে গেলো সেই অচেনা বালুকা বেলায়।
সমুদ্র কুলে বিলিন হয় ঢেউ, ভালো লাগে আমার,
অপরূপ প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখি আমি ফিরে বারে বার।
যখন থেকে সমুদ্রের কথা ভাবনা শুরু হয়,
তখন থেকে স্বপ্ন দেখা আরম্ভ, হৃদয়ে তৃষ্ণা পায়।
ভাবছি সমুদ্র তোমার নোনতা জলে করবো আমি স্নান,
সমুদ্রের নোনতা ঘ্রাণে, জুড়িয়ে যাবে পিপাসিত প্রাণ।
অভিন্ন হৃদয়ের কিছু না বলা কথা,
সমুদ্রের নোনতা জলে ভিজে বালি মাখা পায়ের তলা।
হৃদয় থেকে সরতে থাকে ভিত,
কল্পনাগুলো মনে লাগে অদ্ভুত।
দিনের শেষে আঁধার নেমে বিশাল নীল সমুদ্র করবে গ্রাস,
চারদিক অন্ধকারে ঢেকে, দেখে মুগ্ধ নীল আকাশ।
ক্লান্ত, নিস্তব্ধ হয়ে ছড়িয়ে সুবাস বিস্রামে যায়,
মায়া গভীরতা, স্থিরতা দেখে আমার ঈর্ষা হয়।
হাজারো অস্থির ঢেউয়ের আঘাতে অপরিবর্তনীয় থাকে,
গভীর-স্থিরতা দেখে মাঝে মাঝে সমুদ্র হতে ইচ্ছে করে।
বিশলতা ছুঁয়ে নীল গগন ঠিক মিশে আছে দরিয়া মাঝে,
সাজানো পোশাকে দূরত্বে নীল শাড়িতে তোর মমতায়,
আকাশ আজ হয়েছে বিলিন সাগরের গভীরতায়।
সমুদ্র ধারে ঝিনুকের ফিসফিসগুলো শুনতে পাই,
ঢেউয়ের ডাকে নোনা রক্তের টানে আবার যেন ছুটে যাই।
নোনতা ভিজে বাতাসে ঠোঁটের স্বাদ লাগে যেমন,
আমার চোখের বারির স্বদ হয় তেমন।
সেই পথ ,ভিজে বালি ছুঁয়ে থাকা পরম স্নেহ,
জলধি আর নীল আকাশ ছেড়ে যেতে পারে না কেহ।
সমুদ্রের সৌন্দর্য থেকে শিক্ষা গ্রহণে, কর সঠিক প্রয়োগ,
লক্ষ-কুটি সৃষ্টি মানুষের কল্যাণে করেছেন নিয়োগ।
অপরূপ সৃষ্টির মাঝে পূণ্য অর্জনের ইঙ্গিত রয়েছে,
পবিত্র ধর্মগ্রন্থে যথাযথ বর্ণনা করেছে।
কর না নাফরমানি, ঈশ্বরের সৃষ্টি থেকে শিখবে আদব,
থাকলে মানবতা ও মুল্যবোধ হতে পারবে মহামানব।
রচনার সময় ঃ ২৩/০২/২০১৮