পাহাড়-চুড়ায় দাঁড়িয়ে হয়েছে মনে,
আমি এই পৃথিবীকে রেখেছি পদতলে।
পাহাড়ের কান্না চলে রাত-দিনে,
সুখ নাহি পায় প্রকৃতি বিহনে।
মন বলে পাহাড় আর পাহাড়ের মায়াকে ঘিরে,
অকৃত্রিম সুখের কিছু আছে ঐ পাহাড়ের ভিতরে।
সব শ্রেণির মানব পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করে,
আমিও অনুভব করি ঐ পাহাড়ের মায়াময়তাকে।
দখল করে আছে জমিন থেকে কত উঁচু স্থানকে,
দেখা যায় অনেক দূর-দূরান্ত থেকে।
বিধাতা সব ভালোবাসা পাহাড়কেই দিয়েছে,
চতুর্দিকে তারই বহিঃপ্রকাশ পেয়েছে।
সকল দিকে পাহাড় বেষ্টিত প্রকৃতির খেলা,
সবকিছুই একমাত্র সৃষ্টিকর্তার লিলা।
প্রশ্ন আমার কি আছে পাহাড়ের বুকে?
কি নিয়ে আছে এত সুখে?
বুকে আঁকড়ে রেখেছে মাটি আর পাথরকে,
দেখতে এসেছি আকাশ চুম্বী পাহাড়ের মমতাকে।
দূর আকাশে মেঘ যেমন সাজায়ে থাকে,
আকাশের নিচে পাহাড়ও প্রকৃতিকে ঘিরে রাখে।
মেঘ ও পাহাড়ের কান্না একই রকম,
জন্মে ও কর্মে দু'জন ব্যতিক্রম।
পাহাড় কাঁদিলে হয় ঝর্ণার সৃষ্টি,
মেঘ কাঁদিলে নাম হয় বৃষ্টি।
আকাশে মেঘ আর নিচে পাহাড়,
দুজনের কষ্ট মিলে হয় একাকার।
রচনার তারিখ ও স্থানঃ ০৯/০৩/২০১৮, ভেলোর, তামিলনাডু, চেন্নাই, ইন্ডিয়া।