দুঃখে কষ্টে কিছু শিশু কাঁদছে পথের ধারে,
ব্যাথিত মনে নিস্পাপ শিশু থাকছে অন্ধকারে।
দেখার কেউ নেই ওদের ঘোরে পথের ধারে,
খেতে পায়না দুবেলা ভাত, থাকছে অনাহারে।
ইট পাথর-ই বালিশ ওদের, খড় হল ওর কাঁথা,
সুখী মানুষ কেউ বোঝেনা ওদের মনের ব্যাথা।
জামা কাপড় নেই ওদের উদোম গায়ে রয়,
শীত কালেতে থাকে ওরা কষ্টে অতিশয়।
অবহেলিত শৈশবের এ গ্লানিময় বাস্তবতা,
এসব শিশুদের নিয়ে নেই কারো মাথা ব্যাথা।
যদিও বই থাকার কথা ছিল তার হাতে,
নিয়তি তাদের ঠেলে দিয়েছে অন্ধকারের পথে।
তবুও ওরা স্বপ্ন দেখে অনেক বড় হবে,
ছোট্ট মনে স্বপ্ন ওদের চিরদিনই রবে।
রেললাইনের ধারে কিংবা ফুটপাত ঘেষে,
সোনার বাংলায় লাখো অবুজ শিশু আছে।
ওদের মাঝে নেই আনন্দ বেশ,
চোখের জলও প্রায় নি:শেষ।
জানা নেই কখন হবে দুঃখের নিবারণ,
কারো আবার হতে পারে সুখ বিসর্জন।
নোংরা বস্তিতে কাটাতে হয় রাত,
চায় শুধু তিনবেলায় দু'মুঠো ভাত।
চায়না হাঁটতে বিবস্ত্র গায়ে,
যেতে চায় শিক্ষার সন্ধানে।
চায়না কারো হাতে নির্যাতিত হতে,
চায় সবার মতো বিনোদন পেতে।
চায়না বৃষ্টি ভিজে রৌদ্রে শুকাতে,
চায় সবার মতো স্বাভাবিক জীবনে চলতে।
এরা চায়না পেতে পূর্ণিমার চাঁদ,
তুলে দাও শুধু দু'মুঠো ভাত।
এদের উপকারে আসছে না কোন বিত্ত্ববান,
কেহ করছে না পথশিশুর কল্যাণ।
অবুজ ঠিকানাবিহীনকে পথশিশু কয়,
জানেন মহান সৃষ্টিকর্তা দয়াময়।
কেন এমন হবে এই পথশিশুদের জীবন,
আমরাও করতে পারি ওদের একটু আপন।