হরিতে হিরনে জড়াজড়ি অপরূপ গ্রাম বাংলার,
এঁকে বেঁকে নদী-খাল সীমানা দিয়েছে তাহার।
বর্ষাকালে প্লাবনের স্রোতে পলি পরে উর্বর,
চাষাবাদে কৃষকেরা নূতন রূপ দেয় তার।
মাঠে মাঠে বোরো আমন সীমা নেই তাহার,
বায়ূর দোলায় উছলে পরে রূপের বাহার।
হেমন্তে সোনার ফসল কিঞ্চিত উঠে পাকিয়া,
পৌষ মাসে কৃষাণ পাকাধান কেটে করে সারা।
নদীর তীরে গাছপালা বাড়ীতে বাগান করা,
পাখী ডাকে সারা বেলা ছেলে-মেয়ে করছে খেলা।
এঁকে বেঁকে মেঠো পথ পাড়া গাঁওকে করে সংযোগ,
গরু-মহিষ মাঠে চড়ে সন্ধ্যা হলো বিয়োযোগ।
গ্রীস্ম, বর্ষা, শীত এই তিনে হয় অনুভুতি,
শরৎ, হেমন্ত, বসন্ত দেহে নেই কোন ক্ষতি।
রূপে গুণে কোন তুলনা নাই আছে তার মান,
সারাটি বছর ফল-ফসল করিতেছে দান।
গ্রাম ছাড়া বাংলার ছবি যায় না কভু অাঁকা,
গ্রাম ছাড়া বাংলার কথা যায় না কভু ভাবা।।