আমি এক ধর্ষিতা রমণী,
আমার বেদনা কাউকে বুঝাতে পারিনি।
খুবলে খেয়েছে আমার দেহ শকুনের দল,
নারী তো মাংসপিন্ড ওদের কাছে অসহায়,দুর্বল।
কাতরস্বরে করেছিলাম অনুনয়,
শোনেনি কথা ওদের বিবেক তো আগেই হয়েছে ক্ষয়।
একে একে করেছে আমায় পালাক্রমে ধর্ষণ,
আমার চিৎকার শোনেনি তারা গলেনি তাদের মন।
ধর্ষিতা মায়ের চিৎকার শুনে কেউ আসেনি,
সারা রাত রক্ত চুষে করলি কলঙ্কিনি।
চিৎকার করে বলেছিলো, ধর্ষিতা করিসনা,
সন্তানেরা আমাকে মা বলে আর ডাকবে না।
আমাকে মেরে বাচ্চাদের এতিম করিসনা,
এত অনুরোধেও নারীর শেষ রক্ষা হলো না।
সেই মন গহীনের সুপ্ত স্বপ্ন,
আজ জর্জরিত ক্ষত বিক্ষত রক্তাক্ত।
যৌবনের কঠিন নগ্ন অভিশাপে,
কুলাঙ্গারেরা দৃষ্টি দেয় সপে।
হিংস্রতা আর বাহুবলে,
তারা জয়ী হয় খুব সহজে।
সমাজ তাদের পারে না আটকাতে,
শত দোষ লাঞ্চনা অপবাদ ললাটে।
নরখাদকের মত ঝাপিয়ে,
নষ্ট করে তারা আমাকে।
মানব সভ্যতার এতটা অবক্ষয়,
জাতী গুষ্ঠি ধর্ম সারা বিশ্বময়।
মানুষকে মানুষ ভাবতে ভীষণ কষ্ট হয়,
অথচ মানব জাতি শ্রেষ্ঠ এ দুনিয়ায়।
বিচার দিবসেই হবে বিচার,
উপায় থাকবে না সেদিন বাঁচার।