পুরাণ ঢাকা অগ্নিদাহে হলো মৃত্যুপুরী,
অগ্নি তপ্তে কেড়ে নিলে অনেক কন্ঠনালী।
অগ্নি বন্দীদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে শবযান,
বাঁচার জন্য নিরন্তর সংগ্রাম আজ শুধুই অর্থহীন।
অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ভবন থেকে নামতে পারেনি,
অসহায় স্বামী সঙ্গিবিহীন একাকি নামেনি।
অগ্নিদাহে মৃত্যু হয় ছাড় পায়নি সন্তান থাকা গর্ভে,
স্বামী-স্ত্রী পুড়ে ছাই হয়ে রয়েছে হাসপাতাল মর্গে।
প্রতিদিনের ন্যায় কাজকর্মে লিপ্ত ছিল ভবনের সকলি,
অগ্নিদাহে করেনি ক্ষমা পুড়ে ছাই পড়ে আছে মাথার খুলি।
বাবার কাছে অবুঝ সন্তান খেতে চেয়েছে বিরিয়ানি,
খাবার নিয়ে ফিরে এসে সন্তানকে আর খুঁজে পায়নি।
শিশুকে বাঁচানোর শেষ চেষ্টা করছিলেন দুই ভাই,
দু'জনের বুকে জড়িয়ে রাখা ছাড়া কোন উপায় নাই।
দু’ভাইয়ের জড়াজড়ি করা লাশ আলাদা করে,
জড়িয়ে ধরা শিশুর লাশ দেখা যায় তাদের বুকে।
বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া সন্তানের লাশ চাচ্ছে তার মা,
শেষবার বুকে জড়িয়ে ধরবেন পেলে একটু মাংসের দলা।
কতটা দুর্বিষহ ছিল তাদের জীবন,
ঐ স্থানে নিজেকে নিয়ে একটু ভাবুন।
কতটা তুচ্ছ এ জীবন,
একেবারে ভাবা যায় না এমন।
ভাবতেই গায় কাটা দেয় বারবার,
সকলকে হেফাজত কর বিধাতা এ কামনা আমার।