সুরে ভাসে প্রাণ বসুন্ধরা, মহানন্দে আত্মহারা,
মহানন্দে,মহা সুখে এল ফেব্রয়ারী।
বাংলার কোমল বুকে আঁকল ছবি শাঁখে শাঁখে।
হাজার বনফুল হাসে সারি সারি।
বুক ভরা সুগন্ধ সৌরবে জাগে বাঙালী সগৌরবে,
ছিলনা কোনদিন চির ঘুমন্ত।
দুঃখ ভরা মায়ের বুক বেদনা মাখা করুণ মুখ।
রুখে দেয় বীর বাঙালী,রাঙিয়ে দিগন্ত।
কেড়ে নিবে মুখের ভাষা শেষ হবে শত আশা।
শেষ হবে নাকি “মা”র মান সন্মান।
বজ্র কন্ঠে জেগে ওঠে তাই বীর বাঙালীর হৃদয়।
রুখে দাঁড়ায় বীর কোটি সন্তান ।
নয় সর্বনাশ মাস ছিল দৃঢ় বিশ্বাস
হাজার বাঙালীর প্রাণে।
বাংলা ভাষা থাকবেই হাজার বাঙালী জাগবেই।
“মা”হবে মুক্তি সন্তানের বলিদানে।
একুশের আহ্বানে ছিল প্রস্থুত বলিদানে,
হাজার বাংলার আপন সন্তান।
মুখের মধুর ভাষা বুকের লক্ষ স্বপ্ন আশা
রাখতে,বলী হলো সতেজ লক্ষ প্রাণ
হৃদয়ের কানে শুনি একুশ ছিল আগামীর বাণী।
একুশ দিয়েছি বাংলার পূর্ণতা।
শত সংগ্রামে, বিপদ পদে পদে নেমে।
বাংলা “মা” পেয়েছে পূর্ণ স্বাধীনতা।
……………………………………………………………………………
আমার আগামী কবিতা-“কে আমি কিবা পরিচয়”
কে আমি কিবা পরিচয়?
শত হাজার বছর ধরে,রয়েছি অন্তরে।
স্থান? প্রতি জনের কোমল হৃদয়।
রয়েছি গ্রাম পল্লীর পথে পথে।
রয়ে আছি আদি বাংলার চর্যাপদে।
আছি সৃষ্টির বিকশিত নির্মল জ্যোৎস্নায়।
বয়ে আছি গঙ্গা,পদ্মা,মেঘনায় আর মোহনায়।
মিশে আছি বরেন্দ্র, রাঢ়ীর মাটির কণায়।
মিশে আছি সত্য কলমের কালির ঝর্ণায়।
..................
মিশে আছি মুখে,বুকে হৃদয়ের লাবণ্যে।
আমি অন্ধ বধির বোবা সবার জন্যে।
রয়ে আছি সৃষ্টির মহা হৃদয় অরণ্যে।
কে আমি কিবা পরিচয়?--------------বাকিটা আগামীতে-
“বাংলা ভাষা ও বাঙালী জাতির উৎপত্তি” এর ইতিহাস পড়তে পড়তে মনে গভীর দাগ পড়ে। দাগ আরও গভীর হয় “একুশে ফেব্রয়ারী”এর ইতিহাস পড়ে। লিখিত রুপ পায় শ্রদ্ধেয় কবি “সৈয়দ শামসুল হক এর কবিতা "আমার পরিচয়" থেকে-উনাকে শত কোটি সালাম ও এডমিন সহ আসরের সকল কবিকে, পাঠকে শুভেচ্ছা ও হার্দিক অভিনন্দন। পরম করুণাময় সহায় হোন এই কামনা।