বলতো খুকু গিয়ে “মা” কে-
বাঁশবনের ঐ গাছের ফাঁকে।
লুকিয়ে আছে-চাঁদ মামা,
গায়ে তার রুপোর জামা।
বারে বারে, আমায় ডাকে,
রুপোর হাসির শাখে শাখে,
বসে সেথা,শত পাখির মেলা।
মনের সুখে,কত করে খেলা।
জ্যোৎস্না রাতে আসে নেমে,
সুখের খেলা যায় যে জমে।
জুড়ায় পলাশ, শিমুল প্রাণ,
গায় দোয়েল,কোকিল গান।
বাঁশবনের ঐ গাছের পাতায়,
তরুলতা আর গুল্ম লতায়-
জোনাকি হাজার প্রদীপ জ্বালে,
মনের সুখে হাজার খেলা খেলে।
সবাই যখন,ঘুমায় নিজের মতন।
জ্বলে তারা,শত মানিক রতন।
খেলার শেষে,রুপের বেশে-
মিশে তারা আপন দেশে।
খুকু বলতো গিয়ে “মা” কে-
আলোক রাতে,চন্দ্র মামা আমায় ডাকে।
ঐ বাঁশবনের পাতার ফাঁকে ফাঁকে-
জ্যোৎস্না ঝরায় উজান নদীর বাঁকে বাঁকে।
করে হাজার রাতের খেলা-
সুখে কাটায় সারা রাত্রি বেলা।