ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী কবি সম্মেলন -২০১৯
এসো বিশ্ববাসী,এসো প্রিয়জন,
প্রাণের ভাষায়, মনের আশায়,
গড়ি বিশ্ব বাংলা ,
এসো গড়ি বিশ্বাসে হৃদয়ের বন্ধন।
গত ইংরাজি- ৭ই এপ্রিল-২০১৯ বাংলা ২৩ শে চৈত্র -১৪২৫ রবিবার কলিকাতার যাদবপুরের শহীদ মাষ্টার সূর্য সেন মঞ্চে বাংলা কবিতা ডট কমের উদ্যগে অনুষ্ঠিত হল কবিদের মিলন মেলা উৎসব। ভেবে ছিলাম মনে অনুষ্ঠানের আরম্ভটা দেখা হবেনা কারন রবিবার থাকার জন্য প্রথমে দুটি গাড়ি ছিল না। রাত্রি ২টোয় বেরিয়ে পড়ি কিন্তু গাড়ি কই। আমার এবার সাথী রবিউল মোমিন(আমার স্ত্রীর দাদা) কিন্তু ভাগ্য ভালো য়ে গাড়ী কলিকাতায় (ধর্ম তলায়)পৌছায় সকাল ১০.০০টায় এবং সৌমেন দাদাকে ফোন করি অনুষ্ঠানের পূর্ব অবস্থা জানার জন্য মানে বাংলা দেশ ও ভারতের অন্য রাজ্য থেকে অতিথিগণ এসে পৌছেছেন কিনা। উত্তর পেয়েছিলাম আশা রাখি এবার বেশি বেশি অতিথির সমাগম হবে হয়েছিল তাই। পৌছেছিলাম ১০.৩০ মিনিটে। পৌছে দেখি নিচে কয়েক আছেন-তারাই বললেন উপরে অনূষ্ঠান গৃহে যাবার জন্য সিঁড়িতে উঠতেই দেখি কবি বুলবুল সাহেব গল্প করছেন আর চা পান করছেন- পাশে দাড়িয়ে একজন আমাকে দেখিয়ে বললেন ইনি কে? কেন জানি না মুহূর্তের মধ্যেই বুলবুল সাহেব চা বিস্কুট রেখে আরে মোমিন ভাই বলে বুকে জড়িয়ে ধরে নিলেন এবং অনেক গল্প করলেন,মনে হয়েছিল আমি যেন অতিথি উনি আমাকে আপ্যায়ন করলেন ।কয়েকটা ছবিও তোলা হয়।প্রবেশ করেই পেয়েছিলাম পেলাম যাদব স্যারকে, অনন্ত দাকে, সমীর দাকে তমাল স্যারকে আরও আরও কবিদের সাথে বুকে মাঝে জড়িয়ে ধরে ভালো আছেন তো। এ যেন বহু যুগের অমুল্য সুধার পাপ্তি। এর পরেই সৌমেনদাকে দেখা করি- অনুষ্ঠান শুরুর কথা জানার জন্য।পড়িয়ে দেওয়া হল ব্যাচ ও পুষ্প স্তবক- অতি অল্প সময়েই পরিপূর্ণ হল সভা গৃহ। এই মিলন মেলায় বাংলা দেশ থেকে আগত কবি সাহিত্যিক ( কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল, পলক রহমান, সোহাগ আহমেদ, আফ রিনা নাজনিল মিলি প্রমুখ) ও পশ্চিম বাংলার সহ ভারতের নানা প্রান্ত(রাজ্য) থেকে কবি সাহিত্যিকগন। অনুষ্ঠানের প্রথমে প্রত্যেক কবিকে ব্যাচ ও পুষ্প স্তবক পড়ানো হয়। প্রদীপ প্রজ্বলন-শাঁখ ধ্বনিতে সভায় অপূর্ব সুরের সৃষ্টি হয়। চলে স্বপ্নের সংগীত “ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা” মাধ্যমে অনুষ্ঠান এই অনুষ্ঠানে ছিলেন কবি বুলবুল সাহেব (সভাপতি), বোদরুল আলম(এডমিন-২)অতিথি কবি বরুন বাবু,কবি দেব প্রসাদ বাবু- কবি বিভুতি স্যার, সৌমেন দাদা হৃদয়ের ভালো বাসায় চলে অনুষ্ঠান। রেকর্ডিং বার্তায় শুনি মাননীয় এডমিন মহাশয়ের শুভেচ্ছা। বাংলা দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। বরণ আর বর্ণনার মধ্যে দিয়ে চলতে থাকে অনুষ্ঠান। দুপুর ২.৩০ মিনিটে বিরতি-মানে খাওয়া দাওয়া। এই মধ্যে কবি বুলবুল সাহেব তুলে দিলেন “কাব্য কৌমুদী”। খাওয়া সেরে একান্ত আলোচলা দ্বিতীয় পর্বের অনূষ্ঠান একটু দ্রত চালাতে হয়েছিল। আমাকে বরণ ও উত্তরীয় দিলেন রক্তিম স্যার- । এই আসরে আমি কবিতা পাঠ করেছিলাম-
"বিশ্ব জনতার ভাষা"
মনের ভাষা,
প্রাণের আশা।
আমার হৃদয়ের বাংলা ভাষা।
মাতৃ ভাষায় আছে-
জন্ম থেকেই নিজস্ব অধিকার।
এই স্বপ্নের ভাষা,
তোমার, আমার,সবার।
হোক সারা বিশ্ব জনতার।
"প্রাণের বর্ণমালা শিখি"
ঘন আঁধারের পথ ধরে,আর কতদিন?
খুঁজবো সেই শুভদিন।
নব প্রত্যূষের ভোরে ভোরে।
আমি অন্ধ বধির,নিরক্ষর-
জানিনা,শিখিনা মাতৃভাষার অক্ষর।
আর নয়-
প্রাণ দিয়ে শিখবো ভাই-
অ-আ-ক-খ-হাজার কষ্ট করে।
প্রথম পর্বের সঞ্চালক অনন্তদা ও দ্বিতীয় পর্বের সঞ্চালক বিভুতি স্যার খুব ভালো ভাবে অনুষ্ঠানটাকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন- তবে মনে হয় বিভুতি স্যারকে খুব দ্রুত অনুষ্ঠান চালাতে হয়েছিল- কারণ অনেক কবি তখনও কিছু বলার অপেক্ষায় ছিলেন। বাড়ি ফিরি গভীর রাতে- পৃথিবী নীরব চুপচাপ ঘন আঁধারে ভরা কলিকাতা তার বুকে কৃত্রিম ভালো নিয়ে বেচে আছে- বলি চলি আবার দেখা হবে হয়ত কোনদিন- জোনাকি আর শীতল হাওয়া ভেদ করে ফিরে চলি বাড়ির দিকে- সকালে অফিস। বার বার মনে পড়ে যায় সেই অচানা অচেনা মুখগুলি আর হৃদয় ভরা ভালো বাসা--- এক অদৃশ্য মিল বন্ধন- এবারে যেমন পেয়েছিলাম অনেক কবিকে তেমনি পাই নি গত ভাবের অনেক কবিকে। কারন তারা হয়ত কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আছেন । চিত্তরঞ্জন বাবুর জন্য মন খারাপ লাগছিল-কারন তিনি আস্তে পারেন নি। জানলাম শরীর খারাপ আশা রাখি তিনি সুস্থ হয়ে উঠুন।– বাড়ি ফিরে শুধু মনে পড়ে কবিতার আসরের কথা। সাথিদের ভালোবাসা স্নেহের কথা-অনুষ্ঠানের কথা। আশা রাখি আবারও কোনদিন দেখা হবে । বলি জয় হোক বাংলা কবিতা ডট কমের, বাংলাভাষার মাননীয় এডমিনের ও সৌমেন দা-অনুষ্ঠান পরিচালকদের।