সিদ্ধ ধানে অঙ্কুর-৪
( মৃত্যু দ্বারে আকাশে )

শুনি সতত আপ্তবাণী
'আকাশে শান্তির নীড়'
উড়োযানে বরিশাল হতে
গন্তব্য রাজধানীর।
খগপতি হয়ে সুখে আকাশে
ডানা মেলে উড়ি,
স্বল্প দূরত্বে গন্তব্য পথে
ক্ষণ তরে পাড়ি।
ওপরে রোদেলা মেঘের ভেলা
ছুঁই ছুঁই ভেসে বেড়ায়,
আঁখি পল্লব নাহি পড়ে
শিহরিত মন আনন্দে দোলায়।
ক্ষণিকের সুখ সাঙ্গ করে
উড়োযান ঢাকার আকাশে,
কাপ্তান যায় অবতরণে
প্রচন্ড ঝাঁকুনি লাগে নিমেষে।
নভো থেকে ভূমে পড়ি এখুনি!
বার বার চেষ্টা অবতরণে,
ভয়ার্ত সবে যায়যায় প্রাণ!
মৃত্যুর পথ দূরত্ব হাতখানে!
নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বলে কাল বোশেখী ঝড়
এখন অবতরণ বারণে,
কাপ্তান বিমান উড়িয়ে চলে
ওপরে নিরাপদ গগনে।
যাত্রীদের কান্নার রোল
অসুস্থ নিস্তেজ প্রবল তুফানে,
নারী শিশু নির্বিশেষে
শ্বাসকষ্টে আর বমনে।
ফিরে চলো বরিশালে ক্রুদের বলি
সেথা নেই জ্বালানি নেবারে,
এভাবে ঘন্টাখানিক উড়োযান
ঘোরে ঢাকার উপরে।
যায় যায় জ্বালানি
নতুন বিপদ দাঁড়ায় সম্মুখ পানে,
জীবনের মায়া ত্যাগে ভাবি
আর না দেখা হবে কারো সনে!
সহসা কাপ্তানের কণ্ঠ ভাসে
আমরা চলেছি চট্টলায়,
দূর্যোগ শেষে  আসবো ফিরে
বিমানবন্দর ঢাকায়।
শেষ বিকেলের মিষ্টিমাখা রোদ
অবতরণ আমানত শাহ বন্দরে
নেতিয়ে পড়া যাত্রী বিশ্রামে লাউঞ্জে
ওষুধ পথ্য লয় উপশম তরে।
ক্রোধে ফুঁসে ওঠে পরিজনে,
'বন্ধ নয়, মুঠোফোন নেটের বাইরে '
আধাঘণ্টা পথে কয়েক ঘন্টা পার!
না পেয়ে সবে খোঁজাখুঁজি করে।
অবশেষে সন্ধ্যায় ঢাকা অভিমুখে
নিরাপদে অবতরণ বিমানবন্দরে,
মৃত্যুর দুয়ার থেকে হলো ফেরা
বাইরে স্বজন অপেক্ষারত ভিড়ে।
(শেষ পর্ব)

  রচনাঃ ২৬ জুন,২০২৪।