সিদ্ধ ধানে অঙ্কুর-২
(খেয়া ডুবি)

ছেলেবেলা মাঝে মাঝে
যেতে হতো হাটে,
সাপ্তাহিক হাট বসতো
দূরের পল্লি  বাটে।
পায়ে হাঁটা মেঠোপথে
কিংবা ডিঙ্গি নৌকায়,
যাতায়াতের অবলম্বন
সাপ্তাহিক কেনাকাটায়।
মাঝখানে ত্রিমোহিনী নদী
উত্তাল তার জলরাশি,
জীবন ঝুঁকি নিয়ে
পার হয় সদা গ্রামবাসি।
একদা সকলের সাথে
চলি হাট পানে,
খেয়াঘাটে ভীষণ ভিড়
পারাপারে লোকজনে।
নৌকাতে চড়ে ঠাসাঠাসি
কাল বোশেখী বায়,
ফুঁসে ওঠে ভরা নদী
ঢেউ আছড়ে পড়ে নায়।
হাল ছেড়ে দেয় মাঝি
খেয়া ডুবে যায়,
উত্তাল তরঙ্গ মাঝে
যাত্রীরা সাঁতরায়।
ঢেউয়ের সাথে যুদ্ধ করে
সবে ওঠে কিনারায়,
নদীতে সাঁতার কাটা
এমন কঠিন নয়!
ঝাঁপ দিয়ে জোয়ারের বানে
সাঁতারু বনেছি বেলা-অবেলায়
সামান্য উর্মীমালা আমি কী ডরাই?
নদীর তান্ডব জলে পেট ভরে হায়!
অবশেষে তরঙ্গ যুদ্ধে
প্রাণ যায় যায়,
আঁখি মেলে চেয়ে দেখি
একা ভাসি হেথায়।
প্রতিবেশি টগবগে এক যুবক
ভালোবাসতো আমায়,
এমন মর-মরে অবস্থা দেখে
টেনে তুলে বাঁচায় আমায়!
সতত চেষ্টা করি
উপকার করতে তাঁর,
রাখলেন ঋণী করে
শোধ হবেনা আর।
এমন মহান ব্যক্তি লাগি
বলছি বিধাতায়,
দু'কূলে সুখ দাও
তাঁর কর্মের উছিলায়।
(চলবে)

  রচনাঃ২৪ জুন,২০২৪।