সিদ্ধ ধানে অঙ্কুর—১
(সাপের দংশন)

নাম তার  গুয়েপোড়া
গ্রামের সবই জানি,
রাসেলস্ ভাইপার হয়ে
জাতে উঠে তিনি।
যোগাযোগ মাধ্যমে
ব্যাপক পরিচিতি পায়,
আতঙ্কে লোকজন
ভয়ে পিছু ধায়।
দংশিলো মোরে সে
উচ্ছল বয়সন্ধিকালে,
গলায়  ঝোলা চাদরে
পা টা বাঁধি  শিথিলে।
শক্ত করে বাঁধলে পা
হাঁটতে নাহি পারি,
যেতে হবে দু' কিলোমিটার
যেথা নিজ বাড়ি।
দংশিত ক্ষত স্থানে
যেন আগুনে পুড়ে,
ফুলে ফেঁপে ওঠে পা
কামড়ের চারিধারে।
অলসে বসে সে ইদুর গর্ত পাশে
দংশনে  ওর দোষ নাই,
পায়ের তলায় পিষ্ট হয়
কামড় দিয়েছে তাই।
মসজিদের ইমাম এসে
বাঁধেন পা শক্ত করে,
ততক্ষণে কিছু বিষ
থেয়ে ওঠে শরীরে।
দো'আ কালাম পড়ে তিঁনি
পায়ে ফু্ঁক দিলেন,
কাঁচের টুকরোয় আলতো কেটে
পায়ে রক্ত বের করেন।
তাঁর চেষ্টাতে আমি
সাময়িক উপশম বোধ করি,
শিথিল বাঁধন দীর্ঘ পথ হাঁটায়
বিষ যায় না পুরোপুরি।
এভাবে কটা দিন
কাটে যাতনায়,
অবশেষে নিস্তেজ হয়ে
পড়ি বিছানায়।
ঘন ঘন দাস্ততে
প্রাণ যায় যায়।
পাশের গ্রামের এক
সিনিয়র বন্ধুজন,
নিকট আত্মীয়ের কথায়
আমায় দেখতে আসেন।
ঘর থেকে কোদাল নিয়ে
খাল পাড়ে জঙ্গলে যান,
মাটি খুঁড়ে অজানা বস্তু
এনে শরবতে খাওয়ান।
সাথে সাথে শরীরে
সকল শক্তি পাই,
নতুন প্রাণে বেঁচে উঠি
ওষুধ আজও অজানাই।

মানুষ মানুষের জন্য
বাণী চিরন্তন,
ক্ষণিকের ধরিত্রী পুরে
সবাই হই আপন।
(চলবে)
  রচনাঃ২৪ জুন,২০২৪।