রক্তের চেয়ে সুলভ সুখ
সুখ তুমি এত সহজ লভ্য—নও অধরা!
তোমার এখন জমজমাট আসর,
ক্লিষ্ট বিনে সুলভে পাওয়া যায়
দেশ জুড়ে বাজার এখন তোমার!
কী দামে অনায়াসে কিনি তোমায়?
রক্তও নাকি তোমা হতে সুলভ!
আমি কিছু সুখ কেনার আশে
দুখ বিক্রি করার তরে ছিলাম বসে।
সুখ কিনতে দুখের চড়া দাম হাঁকতে হতো
দুখ এখন অচল পয়সা ;যোগান বেশি তার!
তান্ডবে তান্ডবে সুখ এসে দুয়ারে দাঁড়ায়
চিতাগ্নি শিখায় জ্বলে পুড়ে ছাড়খার;
সুখ মিলে কারো কারো চারিধার!
যেন ছেলের হাতের মোয়া এখন
দুখ বিনিময়ে বিক্রি হয় না আর,
দুখ বাজার মন্দা—মহাসাগর পরিপূর্ণ
কানাকড়ি দামও নেই এখন তার।
দুঃখের চাকা ঘুরিয়ে সুখের আগমন,
সুখ পাখিটা ধরতে দুখ সিন্ধু হতে হয় পার!
দুঃখের মধ্যে সফলতার সুরভি—
এসব আষাঢ়ে গল্পমালা।
আহা! এখন সুখেরই তো সময়-কাল
কথায় কথায় সুখ আসে যায়!
গলাবাজি হুংকার আর তান্ডবে তান্ডবে
নীতি ভাঙার এ যুগে
সুখ সুড়-সুড় করে ধরা দেয়।
সুখের রং কী!দেখতে কেমন হয়?
রংধনু তুমি কি বলতে পারো?
ঋদ্ধ হই, সার্থক করি দু'নয়ন!
ভুলে যাই, দুখ বিনে সুখ অসহায় ;
চেনা বড় দায়।
রচনা:২৬ অক্টোবর, ২০২৪।