কচু পাতায় শিশির বিন্দু
জীবন যেন কচুপাতার ওপর
টলটলে এক ফোঁটা স্বচ্ছ শিশির,
এই আছে এই নেই ঝলমলে মুক্ত কণা
কখনো বেদনা আর হারানোর হাহাকার।
অগ্নিতে নিভে অর্ধশত প্রাণ!
অধিবর্ষে পুড়ে পুড়ে অঙ্গার,
বহুতল বাণিজ্যিক ভবন
বেইলি রোডে রাজধানীর।
নিমেষে ঝলসে গেলো তাজা জীবন,
কেউ আসে জন্মদিন উদযাপনে শিশুর
পোড়া লাশ হয়ে যায়—না ফেরার দেশে!
আকাশে বাতাসে ভাসে মৃত্যুপূর্ব চিৎকার।
লাশের সারিতে শিক্ষিকা মা ও মেয়ে
গোটা পরিবার ইটালি যাবার
বুয়েটের সদ্য দু'গ্রাজুয়েট পুড়ে যায়
অসহায় হয়ে গেল কত পরিবার।
কেউ হারালো একমাত্র অবলম্বন!
কে নেবে এ বিষাদের দায়ভার?
এ মৃত্যুর মিছিল থামবে কবে?
চাই না দগ্ধিত যন্ত্রণা বারেবার।
অভিজাত এ বণিক ভবন
ব্যবস্থা ছিলো কি কোনো সুরক্ষার?
প্রাণের চেয়ে উপার্জন বড় কি?
বিত্তের লোভে কেউ নাই শুনবার।
বড় শহর এখন মৃত্যুকূপ!
নানা দায়ে কারো ঠাঁই, মাথা গোঁজার
বোমা হয়ে জীবন দীপ নিভায়
রেস্তোরাঁর বড় বড় গ্যাস সিলিন্ডার।
অবকাশে বারবিকিউ খেতে গিয়ে
নিজে ফেরেন পুড়ে বারবিকিউ হয়ে।
রচনাঃ০১ মার্চ,২০২৪।