কলমও বোঝা হয় কখনো
...................................
বিশাল শক্তিধর ছোট্ট এক বস্তু লেখনি
মানব সেবায় নিয়োজিত সর্বক্ষণ,
সূচালো অগ্রে বেরিয়ে আসে
সুখের কথা ভালোবাসার কথা দুঃখের কাহিনি।
নিজে নিত্যান্তই ভাষাহীন!
শিক্ষার্থীদের খাতায় খাতায়
লেখকের পাণ্ডুলিপি পাতায় পাতায়
অবিরাম রক্ত ঝরা তার বিচরণ।
এক মুহূর্ত চলে নাকো কারো
অনিবার্য ভূমিকায় শিক্ষিত সভ্য মানুষের
বিজ্ঞানী দার্শনিক জ্ঞান তাপসের ;
রাজনের রাজ্য চালনায় উত্থানে পতনে
রাজ কোষের হিসেব-নিকেশ,
বিচারকের এক খোঁচায় বাঁচা মরা আদেশে।
যুগল প্রেমে হৃদয় উজাড় করে
আবেগি মনের কথা লিখনে,
ব্যবসায়ের টালি খাতার প্রতি পাতা
কোনটা চলে লেখনি বিনে?
বিরামহীন ট্রেনের মত ছুটে চলা।
ধরিত্রীর যত তত্ত্ব ও তথ্যমালা লিপিবদ্ধে
পর্বতসম যত গ্রন্থরাজি
সমগ্র রচয়িতার পঠন পাঠনে লিখন
সব অহংকারের অংশীজন!
কলম শক্তিতে বিশ্ব চাকার ঘূর্ণন।
কদরে হৃদপিণ্ড বরাবর পকেটে
যতনে টেবিলের উপরে ভূষণ,
যাতায়াতে থলের বিশেষ কোটরে
কখনো হাতে হাতে অবস্থান।
যখন তার হৃদয়ের রক্ত সঞ্চালন
তিলে তিলে নিঃশেষ হয়ে যায়!
দিতে পারেনা আর রক্তদান
গুরুত্বহীন আবর্জনা তুচ্ছ বস্তু রূপে
বোঝা হয়ে দাঁড়ায় তখন,
সকলে ভাগাড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়!
রচনাঃ ১৫ জানুয়ারি,২০২৫।