পাখির ছানা
(রূপক কবিতা)
পৃথিবীর আলো দেখেছে সদ্য
এমন কালে মা শিকারীর কবলে পড়ে,
মা হারা একটা বনের পাখি ছানা
চিন্তিত পিতা লালন পালনে তার।
ক্লেশে নিত্য ব্যস্ত যোগাড়ের আহার
আদুরে ছানাকে খাওয়ায় নীড়ে ফেরে,
নিজে অভুক্ত থাকে প্রায়শই
ছানাকে বড় করার প্রণপণ চেষ্টা।
এভাবে বড় হয়ে ওঠে ছানা পাখি
সময়ের আবর্তে ন্যুব্জ বয়সের ভারে
শক্তি নেই, উড়ে গিয়ে খাদ্য সংগ্রহের,
বেড়ে ওঠা সন্তান আহার জোগায়
সবটুকু নিজ উদরপূর্তি করে,
পিতৃ ভাগ্যে না জোটে কণা কড়ি!
বৃদ্ধ পাখি অভুক্ত দিনদিন শক্তি ক্ষয়।
একদা প্রচন্ড ঝড় বয়ে যায় লোকালয়
ঝড়ের তান্ডবে চারিদিকে হাহাকার!
সন্তান যোগাড়ে নারে নিজ খাবার
ঝড়ের কবলে পিতৃ পাখির মৃত্যু ঘটে!
খাবার জোটেনা জীবিত সন্তান পাখির
চেখে সর্ষে ফুল অভুক্ত অসহায়!
নীড়ে বসে ঝিমুচ্ছে বুদ্ধি এলো মাথায়!
অবশেষে পিতৃ দেহ করে ভক্ষণ!
শুরুতে পচনশীল মগজ খায়
ক্ষুধা নিবারি তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে
এমনি খেতে খেতে পিতৃ দেহ
অবশিষ্ট আর নাহি রয়।
স্বভাবিক হয়ে ওঠে লোকালয়
উড়ে গিয়ে নিজ খাদ্য খোঁজে দিনভর,
আদুরে পুত্র পাখি পিতৃ ত্যাগ ভুলে যায়!
রচনাঃ১২ আগস্ট, ২০২৪।