আষাঢ়ে বরিষণ

টিনের চালায় সুরের ঐকতান ;
ডুবে যাই ভুবন মোহিনী তালে কিছুক্ষণ।
আহা! কি মনোহরা রিমঝিম তা থৈ  নাচন,
নীপবনে পুষ্পগন্ধে মিশে বিটুপীর ললিত স্নান।
সরলরেখায় ভূমে নামে অঝোর বরিষণ,
কৈশোরে দলবেঁধে ছুটে চলা শুনে কে বারণ!
কাদা-নীরে চলে লুটোপুটি খেলা
জন্মভূমির সোধা গন্ধে বসে মেলা,
খালে ঝাঁপ দিয়ে নেচে ওঠা উল্লাসে
সব নিয়মের বাঁধন টুটে এমন বরষে।
আনন্দ না শেষ হয় আষাঢ়ে প্রথম ক্ষণে
পিছল পথে ঢালুতে গড়িয়ে পড়া হরষ মনে।
গার্হস্থ্য কাজে ব্যস্ত সিক্ত পল্লি বধূরা ;
বীজতলা তৈরির উদ্যোগ পল্লির চাষিরা।
বয়ঃসন্ধিকালে আনন্দ সময় এমন
নব বর্ষায় হৈ হুল্লোড় যেন প্রথা পার্বন,
এমন উৎসব কভূ কি ভোলা যায়?
গাঁয়ের মেঠো পথ ভরেছে কাঁদায়!
শরীরে কাদা-জলের রংয়ের সাজ
পৌঁছায় স্বর্গীয় সুখের আমেজ,
ছেলেবেলার বর্ষার স্নাত কাদা-নীর উৎসব
সংসার ধর্মে হারিয়ে যায় সব।

—অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন শিকদার
   রচনাঃ ১৯ জুন,২০২৪।